লিহান লিমা: [২] আগামী নভেম্বরের মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের ডেমোক্রেট দলীয় প্রার্থী জো বাইডেন বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ডেমোক্রেট ও রিপাবলিকান অনেক প্রেসিডেন্ট দেখেছে। কিন্তু ডোনাল্ড ট্রাম্পের মতো সরাসরি বর্ণবাদী প্রেসিডেন্ট আর কখনোই দেখেনি। তার হাত ধরেই যুক্তরাষ্ট্রে পুনরায় বর্ণবাদ মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে।’ ইয়ন
[৩] বাইডেন আরও অভিযোগ করেন, ট্রাম্প গায়ের রং, জাতীয়তা এবং দেশ দিয়ে মানুষকে বিচার করেন। আপনারা জানেন, ক্ষমতায় এসে ৭টি মুসলিম দেশের নাগরিকদের যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে নিষেধাজ্ঞা দিয়ে তিনি নির্বাহী আদেশ জারি করেছিলেন। এখন তিনি করোনাভাইরাসকে ‘চীনা ভাইরাস’ বলে অভিহিত করেছেন। মহামারী নিয়ন্ত্রণে নিজের অক্ষমতা ঢাকতে তিনি জাতিগত বিদ্বেষ বেছে নিয়েছেন। প্রেসিডেন্ট ঐক্যবদ্ধ অ্যামেরিকা নয়, বিভেদের দেশ গড়ে তুলেছেন।
[৪] এই সময় বাইডেন প্রতিশ্রুতি দেন, ক্ষমতায় এলে প্রথম ১০০দিন কাঠামোগত বর্ণবাদের সংষ্কার করবেন তিনি। সেই সঙ্গে ট্রাম্পের অভিবাসন নীতি বদলে সেটি মুসলিম সম্প্রদায়ের জন্য সহজ করবেন।
[৫] এদিকে জো বাইডেনের সমালোচনার জবাবে ট্রাম্প বলেন, ‘একমাত্র আব্রাহাম লিঙ্কন ব্যতীত অন্য যে কোনো মার্কিন প্রেসিডেন্টের চাইতে আমি কৃষ্ণাঙ্গ আমেরিকানদের জন্য অনেক কিছু করেছি। ট্রাম্পের নির্বাচনী প্রচারণা শিবিরের উপদেষ্টা ক্যাটরিনা পিয়ারসন বলেন, বাইডেনের মন্তব্য মনগড়া। ডোনাল্ড ট্রাম্প কখনোই বিভেদের রাজনীতি করেন নি। তার ভোটারদের একটা বড় অংশই কৃষ্ণাঙ্গ। ট্রাম্প নন, বাইডেনই বরং বর্ণবাদী। সাবেক প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সম্পর্কে বাইডেন একবার বলেছিলেন, ওবামা তার দেখা প্রথম আকর্ষনীয়, বুদ্ধিমান ও সুপুরুষ কৃষ্ণাঙ্গ। এদিকে বাইডেনের বলছে, তার মন্তব্যকে বিকৃত করে প্রচার করা হচ্ছে। এপি
[৬] বিশ্লেষকরা বলছেন, করোনাকে প্রেসিডেন্টের ‘চীনা ভাইরাস’, ‘উহান ভাইরাস’, কখনও ‘কুং ফু’ বলে অভিহিত করায় যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসকারী এশিয়ার মানুষ, বিশেষত মঙ্গোলয়েড চেহারার মানুষ হয়রানি ও বিদ্বেষের শিকার হচ্ছেন। এছাড়া জর্জ ফ্লয়েড হত্যাকাÐকে কেন্দ্র করে ‘বø্যাক লাইভস ম্যাটার’ বিক্ষোভে ট্রাম্পের সেনা পাঠানোর পদক্ষেপ কৃষ্ণাঙ্গদের ক্ষোভ বৃদ্ধি করেছে। কয়েকদিন আগে দেয়া এক সাক্ষাতকারে বর্ণবাদী কনফেডারেড পতাকাকে সমর্থন করেন তিনি। যা জনরোষ সৃষ্টি করেছে। তবে ডোনাল্ড ট্রাম্পই প্রথম বর্ণবাদী মার্কিন প্রেসিডেন্ট বাইডেনের এ মন্তব্য ভুল। এর আগেও অনেক মার্কিন প্রেসিডেন্ট বর্ণবাদ ও দাসপ্রথা সমর্থন করেছেন। ডয়েচে ভেলে। সম্পাদনা: ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :