সমীরণ রায় : [২] বার্ধক্যজনিত কারণে ঢাকা-৫ আসনের এমপি হাবিবুর রহমান মোল্লা গত ৬ মে মারা যান। আওয়ামী লীগের সভাপতি মণ্ডলীর সদস্য ও ঢাকা-১৮ আসনের এমপি এডভোকেট সাহারা খাতুন গত ৯ জুলাই মারা যান। এতে আসন দুটি শূন্য হয়। তবে সংবিধানে শূন্য আসনে ৯০ দিনের মধ্যে নির্বাচন দেয়ার বিধান রয়েছে। ফলে দুটি আসনেই নৌকার হাল ধরতে পোস্টার সাঁটিয়েছেন আওয়ামী লীগের একাধিক নেতা। কেউ কেউ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমেও প্রচারণা চালাচ্ছেন। তবে কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ ও তৃণমূল নেতারা চান আসন দুটিতে দলের যারা দুঃসময়ের পরীক্ষিত, শিক্ষিত ও ত্যাগী নেতা, তাদের হাতেই যেন নৌকার টিকিট তুলে দেয়া হয়।
[৩] ঢাকা-৫ আসনে আওয়ামী লীগের সম্ভাব্য প্রার্থীদের মধ্যে রয়েছেন-হাবিবুর রহমান মোল্লার বড় ছেলে ডেমরা থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মশিউর রহমান সজল, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি আবু আহমেদ মন্নাফী, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, আওয়ামী লীগের আন্তর্জাতিক বিষয়ক উপ-কমিটির সদস্য নেহরীন মোস্তফা দিশি, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি কাজী মনিরুল ইসলাম মনু, যাত্রাবাড়ী থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক হারুনুর রশীদ মুন্না, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ স্বেচ্ছাসেবক লীগের সভাপতি কামরুল হাসান রিপন।
[৪] মশিউর রহমান সজল বলেন, ঢাকা-৫ আসনে বাবা এমপি ছিলেন। তিনি নেত্রীর খুব আস্থাভাজন ছিলেন। বাবার মতো আমিও দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনার একজন কর্মী হতে চাই। আশা করি দলীয় সভাপতি ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সেটি বিবেচনা করবেন।
[৫] ঢাকা-১৮ আসনে আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য মোজাফফর হোসেন পল্টু, কেন্দ্রীয় সদস্য মোফাজ্জল হোসেন চৌধুরী মায়া, আওয়ামী লীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য জাহাঙ্গীর কবির নানক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম, ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এম এ কাদের খান, যুব মহিলা লীগের সভাপতি নাজমা আকতার। এছাড়া বিজিএমইএর সাবেক সভাপতি সিদ্দিকুর রহমান ও সাহারা খাতুনের ভাগ্নে আনিসুর রহমান প্রচারণা চালাচ্ছেন।
[৬] এম এ কাদের খান বলেন, রাজনীতি করতে গিয়ে র্দীঘদিন জেল খেটেছি। তাই দলীয় সভাপতি শেখ হাসিনা যদি মনোনয়ন দেন, তাহলে ঢাকা-১৮ আসনের অসম্পূর্ণ কাজগুলো করবো। আর যদি মনোনয়ন নাও পাই রাজনীতিবিদকেই যেন মনোনয়ন দেয়া হয়। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :