আসাদুজ্জামান বাবুল, গোপালগঞ্জ: [২] বৃহস্পতিবার কাশিয়ানী উপজেলা এসিল্যান্ড কমকর্তা ভ্রাম্যমাণ আদালতের বিচারক মো, আতিকুল ইসলাম এ জরিমানা করেন।
[৩] এ সময় উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা মো. সাব্বির আহম্মেদ ছাড়াও স্থানীয় সামাজিক/রাজনীতিবিদ ও গনমাধ্যম কর্মিরা উপস্থিত ছিলেন। বৃহস্পতিবার বিকেল পৌনে ৫ টার দিকে কাশিয়ানী উপজেলা নির্বাহী কমকর্তা মো, সাব্বির আহম্মেদ সাংবাদিকদের জানিয়েছে, স্থানীয় কিছু প্রভাবশালী ব্যক্তিরা প্রায় এক বছর ধরে ড্রেজার দিয়ে মধুমতি নদী হতে অবৈধভাবে বালু উত্তোলন করে সরকারি রাস্তার দু-পাশে মজুত রেখে বাজারে বালু বিক্রী করে আসছিল।
[৪] মাসের পর মাস রাস্তার দু-পাশে বালু মজুত করে রাখায় কাশিয়ানীর ভাটিয়াপাড়া মোড় হতে কালনা ফেরিঘাট পযন্ত এই সাড়ে ৩ কিলোমিটার রাস্তা সরু হয়ে পানি জমে সড়কটি হাভোড়ে পরিনত হয়ে পড়েছে। ফলে, ওই সড়ক দিয়ে যানবাহন ছাড়াও মানুষ চলাচলে চরম বিঘ্ন ঘটেছে। গত এক সপ্তাহ আগে স্থানীয় জনগনের এমন সংবাদের ভিত্তিতে ঘটনাস্থলে গিয়ে অবৈধ বালু বিক্রেতাদের রাস্তার দু-পাধ হতে দ্রুত বালু অপসারনের কথা বলার পরেও তারা বালু অপসারন না করে জনদুর্ভোগ আরো বাড়িয়ে দিয়েছে।
[৫] বৃহস্পতিবার এমন সংবাদ পেয়ে আবারো ঘটনাস্থলে পৌছে রাস্তার পাশে বালু মজুত দেখে ৪ জন বালু বিক্রেতাকে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। একই সাথে বালু অপসারনের জন্য তাদেরকে সময়ও বেধে দেয়া হয়েছে। অপরদিকে, জনদুর্ভোগে পড়া এমন অসংখ্য নারী-পুরুষ অভিযোগ করে বলেছে, সড়কটির দায়িত্বে নিয়োজিত সড়ক ও জনপথ বিভাগের ব্যক্তিরাই অবৈধ বালু ব্যাবসায়ীদের কাছ থেকে আর্থিকভাবে লাভবান হয়ে সড়কের দু-পাশে বালু রাখার ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। টাকার বিনিময়ে অবৈধ বালু ব্যবসায়ীদের রাস্তার পাশে দীঘদিন ধরে বালু রাখার সুযোগ তৈরি করে দিয়েছেন এমন এক প্রশ্নের উত্তরে সড়কের দায়িত্বে নিয়োজিত সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগের উপনিবার্হী প্রকৌশলী মো, সাকিরুল ইসলাম বলেছেন, বিষয়টি সঠিক না। সম্পাদনা: জেরিন
আপনার মতামত লিখুন :