ইয়াসিন আরাফাত : [২] বুধবার চীনের সরকারি সংবাদমাধ্যমে জানানো হয়েছে, দেশটির ন্যাশনাল ফার্মাসিউটিক্যাল গ্রুপ সিনোফার্মের তৈরি কোভিড-১৯ এর একটি ভ্যাকসিন চলতি বছরের শেষের দিকে জনসাধারণের ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত হতে পারে। যদিও এর আগে এই ভ্যাকসিনটি ২০২১ সালে সহজলভ্য হতে পারে বলে প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিল সিনোফার্ম।
[৩] সিনোফার্মের চেয়ারম্যান লিউ জিংঝেন রাষ্ট্রীয় সম্প্রচারমাদ্যম সিসিটিভিকে বলেছেন, আগামী তিন মাসের মধ্যে কোভিডের জন্য তাদের তৈরি ভ্যাকসিনের মানবদেহে শেষ ধাপের পরীক্ষা সম্পন্ন হবে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
[৪] সিনোফার্মের সহযোগী প্রতিষ্ঠান চায়না ন্যাশনাল বায়োটেক গ্রুপ (সিএনবিজি) করোনাভাইরাসের দু’টি ভ্যাকসিনের প্রকল্প পরিচালনা করছে। চীনে কোভিড-১৯ এর সংক্রমণ হ্রাস পাওয়ায় পরীক্ষা চালানোর জন্য পর্যাপ্তসংখ্যক রোগী মিলছে না, যে কারণে ২০২১ সালের আগে ভ্যাকসিনটি পুরোপুরি ব্যবহারের জন্য প্রস্তুত করা সম্ভব না-ও হতে পারে বলে গত জুনে জানিয়েছিল সিএনবিজি। তবে তখন থেকে ভ্যাকসিনের পরীক্ষা চালানোর জন্য দেশের বাইরে বিকল্প জায়গা খুঁজতে থাকে চীন। সব ধরনের প্রতিবন্ধকতা পেরিয়ে ইতোমধ্যে সংযুক্ত আরব আমিরাতসহ আরও কয়েকটি দেশে ভ্যাকসিনটির পরীক্ষা চালানোর প্রক্রিয়া শুরু করেছে বেইজিং।
[৫] সিনোফার্মের তৈরি ভ্যাকসিনটি তৃতীয় ধাপের পরীক্ষায় প্রবেশ করেছে; শেষ এই ধাপে ১৫ হাজারের মানুষের শরীরে তা প্রয়োগ করা হবে। চীনের দু’টি ভ্যাকসিনের পরীক্ষামূলক প্রয়োগ হবে সংযুক্ত আরব আমিরাতে। চীনের রাষ্ট্র-নিয়ন্ত্রিত অপর কোম্পানি সিনোভ্যাক বায়োটেকের আরেকটি সম্ভাব্য ভ্যাকসিনের শেষ ধাপের পরীক্ষা ব্রাজিলে শুরু হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :