নোয়াখালী প্রতিনিধি : [২] ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালের ৭কোটি টাকার যন্ত্রপাতি আত্মসাতের অভিযোগে দুদক অনুসন্ধান শুরু করেছে। নোয়াখালী দুদকের সহকারী পরিচালক ও তদন্ত টিমের প্রধান সুবেল আহমেদের নেতৃত্বে গঠিত টিম বুধবার থেকে এ অনুসন্ধান শুরু করেছেন বলে জেলা দুদক সূত্র জানান।
[৩] ২৫০ শয্যা নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে বিভিন্ন সময়ে এক্টউইল টেকনোলজি (বিডি) লিমিটেড কর্তৃক সরবরাহকৃত যন্ত্রপাতি, সিএমএসডি কর্তৃক কার্যাদেশ নং সিএমএসডি /প্রকিউর/৫৬ এইচপিএন এসডিপি/জি ১৫২৩ (আইসিবি)২০১৫৮-২০১৬/ডি /৫৫ মূলে মেসার্স বেংগল সাইন্টিফিক এন্ড সার্জিকাল কোং কর্তৃক সরবরাহকৃত সি আর এক্সরে মেশিনসহ সরঞ্জামাদি ও যন্ত্রপাতির মূল্য যাচাই সম্পর্কে দুদক স্বাস্থ্যবিভাগের একটি উচ্চপদস্থ টিম নিয়ে সরেজমিনে বুধবার থেকে অনুসন্ধান শুরু করেছে।
[৪] দুদকের এই অনুসন্ধান টিমের অন্য সদস্যরা হচ্ছেন, ডাঃ নিজামুদ্দিন উপ-পরিচালক, সিএমএইচডি ঢাকা, ডাঃ আহসানুল হক সহকারী পরিচালক, হাসপাতাল -৪ স্বাস্থ্য অধিদপ্তর, ঢাকা ডা.শহিদুল ইসলাম সহযোগী অধ্যাপক, রেডিওলোজী বিভাগ,শহীদ সোহরাওয়ার্দী মেডিকেল কলেজ ঢাকা, নাশিদ রহমান সহকারী প্রকৌশলী (ইলেকট্রনিকস) নিমিউ এন্ড টি সি ঢাকা,ডাঃ সুরজিত দত্ত ডিপিএম হাসপাতাল ঢাকা।
[৫] দুদকের সহকারী পরিচালক শফিউল আহমেদের নেতৃত্বে এই বিশষজ্ঞ টিম বুধবার হাসপাতালে এসে দেখতে পায় প্রায় ৫০লক্ষ টাকা মূল্যের একটি সি আর এক্সরে মেশিন -৫০০ অকেজো অবস্থায় পরে আছে যা প্রায় ৫ বছর সরবরাহ নেওয়ার পর থেকে একদিনও কাজে আসেনি।
[৬] এছাড়া ২০১৩-১৪ ও ২০১৪-১৫ অর্থ বছরে সরবরাহ নেয়া অটোমেশন, পোর্টাবেল ৪-ডি আল্ট্রাসনোগ্রাফি, আইসিইউ বেড,ডেন্টাল চেয়ার সহ যন্ত্রপাতি সরবরাহ নেয়া পণ্যের স্পেসিফিকেশন অনুযায়ী সঠিক পাওয়া যায় নি। যার মূল্য অভিযোগকারী তার অভিযোগে ৭ কোটি টাকা উল্ল্যেখ করেছেন।অনুসন্ধান অব্যাহত রয়েছে। অতিশীঘ্রই এই অনুসন্ধান শেষ করে সরকারি টাকা আত্মসাৎকারীদের আইনের আওতায় আনা হবে বলে নোয়াখালী দুদকের উপ-পরিচালক জাহাঙ্গীর আলম জানিয়েছেন। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :