লিহান লিমা: [২] গত ২৫ মে¿ কৃষ্ণাঙ্গ জর্জ ফ্লয়েড হত্যার পর থেকেই যুক্তরাষ্ট্রে ৫৫তম দিনের মতো বর্ণবাদবিরোধী ও পুলিশি নিপীড়ন বিরোধী বিক্ষোভ চলছে। বিক্ষোভ নিয়ন্ত্রণে অরেগন অঙ্গরাজ্যের পোর্টল্যান্ডে তিন ইউনিট প্যারামিলিটারি সদস্য পাঠিয়েছে মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগ। এছাড়া শিকাগোতে ১৫০জন ও কেনসাসে ১০০জন ফেডারেল এজেন্ট পাঠানোর ঘোষণা দিয়েছেন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এপি
[৩] ফেডারেড এজেন্টদের উপেক্ষা করেই পোর্টল্যান্ডের রাস্তায় নেমে আসেন শত শত বিক্ষোভকারী। [৪] তরুণ বিক্ষোভকারীদের ফেডারেল সৈন্যদের থেকে সুরক্ষা করতে রাস্তায় নেমে আসেন মায়েরা। তারা ‘ওয়াল অব মমস’ তৈরি করেন। ৫জন নাতির দাদীমা উইডম্যান বলেন ‘এটি স্বৈরাচার’। এই সময় তিনি ‘দাদী বলছে: ফেডারেল এজেন্ট, পোর্টল্যান্ড ছাড়–ন’ লেখা প্ল্যাকার্ড তুলে ধরেন। এক নারীর টি-শার্টে লেখা, ‘নিজের মায়ের শরীরে গুলি চালিও না।’
[৫] ডেমোক্রেট গর্ভনর কেট ব্রাউন বলেন, ট্রাম্পের সেনাদের বাড়ি ফিরে অন্যকাজে মনোনিবেশ করার সময় এসেছে।
[৬] ফেডারেল কর্মকর্তারা বলছেন, ‘আমাদের এজেন্টদের ওপর হামলা করা হয়েছে। তা সত্তে¡ও পোর্টল্যান্ড কর্তৃপক্ষ কোনো ব্যবস্থা নিচ্ছেন না। সহিংসতা ও ভাঙচুর দমন করতে রাজ্য সরকার এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষ অসহযোগীতা করছেন।’ স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তা বিভাগের প্রধান চাদ উলফ বলেন, ‘ দিনশেষে আমাদের রাষ্ট্রীয় সম্পদ রক্ষা করতে হবে।’
[৭] স্থানীয় সংবাদমাধ্যম বলছে, গ্রাফিতি, ভবন ও স্থাপনার সুরক্ষাকে কারণ হিসেবে দেখিয়ে ট্রাম্প প্রশাসন সৈন্য পাঠিয়েছে। কিন্তু ফেডারেল সৈন্যরা এর চেয়ে বেশি কিছু করছেন। তারা সাদা পোশাকে বিক্ষোভকারীদের গ্রেপ্তার করছেন এবং শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভকারীদের ওপর টিয়ার গ্যাস ও রাবার বুলেট নিক্ষেপ করছেন।
[৮] আইনী বিশেষজ্ঞরা বলছেন, স্থানীয় প্রশাসনের অসম্মতিতে ফেডারেল এজেন্ট ব্যবহার সাংবিধানিক সংকট সৃষ্টি করতে পারে। শিকাগো এবং ইলিনয় অঙ্গরাজ্যের মেয়ররা এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘আমরা কখনোই স্বৈরশাসনকে স্বাগত জানাবো না।’ সম্পাদনা : ইকবাল খান
আপনার মতামত লিখুন :