আনিস তপন : [২] ঈদুল-উল-আযহা পরবর্তী সময়ে চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ এবং প্রক্রিয়াজাতকরণের মত ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশু শ্রমিক নিয়োগ না দিতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানিয়েছে শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয়।
[৩] সম্প্রতি এ সংক্রান্ত বিষয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরে চিঠি পাঠিয়ে বলা হয়েছে, শিশু শ্রমিক নিয়োগের বিষয়টি কঠোরভাবে পর্যবেক্ষণ করা হবে এবং নির্দেশনা অমান্যে শ্রম আইন অনুযায়ী ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। ঈদ-উল-আযহাকে সামনে রেখে এ ধরণের উদ্যোগ নিয়েছে মন্ত্রণালয়।
[৪] পত্রে বলা হয়েছে, চামড়া প্রক্রিয়াকরণে এসিডসহ অন্যান্য রাসায়নিক দ্রব্যাদি ব্যবহার করা হয়। তাছাড়া চামড়া শিল্পের পরিবেশ অস্বাস্থ্যকর ও দুর্গন্ধযুক্ত হওয়ায় তা শিশুদের শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে। বাংলাদেশ সরকার ঘোষিত ঝুঁকিপূর্ণ কাজের তালিকাতেও চামড়া শিল্পের বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত আছে।
[৫] সরকার ২০১৩ সালে ট্যানারি ও চামড়াজাত শিল্পে চামড়া প্রক্রিয়াজাতকরণসহ ৩৮টি কাজকে ঝুঁকিপূর্ণ কাজ হিসেবে চিহ্নিত করেছে। এতে শ্রম আইন অনুযায়ী ১৮ বছরের আগে কোন শিশুকে এ ধরণের ঝুঁকিপূর্ণ কাজে নিয়োগ না দেয়ার বিষয়ে বাধ্যবাধকতা রয়েছে।
[৬] কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তরের মহাপরিদর্শক শিবনাথ রায় জানান, ট্যানারি এবং চামড়াজাত শিল্পকে শতভাগ শিশুশ্রম মুক্ত করা হয়েছে। তাই আসন্র ঈদ-উল-আযহা উপলক্ষ্যে চামড়া পরিবহন, সংরক্ষণ এবং প্রক্রিজাতকরণের মতো ঝুঁকিপূর্ণ কাজে শিশুদের কেউ যাতে নিয়োগ না করে সেজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করা হচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :