ইসমাঈল আযহার; [২] ইসলামের অন্যতম রুকন হজ্ব। এই মুবারক হজ্বের মওসুম চলছে। হজ্বের কিছু আমলের সৌন্দর্য এবং কিছু বিষয়ের সতর্কতা নিয়ে হৃদয়জাত কিছু কথা বলেছেন মারকাযুদ দাওয়াহ আলইসলামিয়া ঢাকা’র মুহতারাম আমীনুত তালীম মাওলানা মুহাম্মাদ আবদুল মালেক ছাহেব। দু’পর্বে নেওয়া সাক্ষাৎকারের পুরো বর্ণনাটি এবার প্রকাশ হল। হজ্বের ক্ষেত্রে প্রধান দুটি মতবিরোধপূর্ণ মাসআলার ক্ষেত্রে আমলের পদ্ধতি সম্পর্কেও তিনি তার পরামর্শ তুলে ধরেছেন।
[৩] প্রথমত যখন যে আমল করণীয় সে আমল করতে হবে। তালবিয়ার সময় তালবিয়া, তাওয়াফের সময় তাওয়াফ। মসজিদে হারামে থাকা অবস্থায় তাওয়াফ সবচেয়ে ফযীলতপূর্ণ আমল। তবে কেউ যদি নফল তাওয়াফ করতে চান তখন তাকে লক্ষ রাখতে হবে, যারা ফরয-ওয়াজিব তাওয়াফ করছেন তাদের যেন কষ্টের কারণ না হয়, নফল তাওয়াফের কারণে ভিড় না বেড়ে যায়।
[৪] অস্বাভাবিক ভিড়ে নফল তাওয়াফ না করা ভালো। মাতাফের মধ্যে মূল ভিড়ে না থেকে একটু দূর দূর দিয়ে যদি করা যায় তাহলে করতে পারে। আসলে এসব ক্ষেত্রে সালীকা লাগে। লক্ষ রাখতে হয় যেন অন্যের অসুবিধা না হয়। নিজের পর্দা রক্ষা হয় এবং হজ্বের মূল আমলের সক্ষমতা ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। হজ্বের আগে নফল তাওয়াফ বেশি করার কারণে ক্লান্তি কিংবা অসুস্থতায় হজ্বের মূল সময়ের আমলে যেন ব্যঘাত না ঘটে।
[৫] মসজিদুল হারামের তাহিয়্যাহ হল, তাওয়াফ। মসজিদে হারামে প্রবেশের পর তাওয়াফ করলে তাহিয়্যাতুল মসজিদ আদায় হয়ে যায়। কিন্তু একথার অর্থ এ নয় যে, যার তাওয়াফ করার শক্তি বা উদ্যম নেই তিনি মসজিদে হারামে প্রবেশ করে চুপচাপ বসে যাবেন। বরং তাহিয়্যাতুল মসজিদের ২ রাকাত নামায তিনি পড়ে নেবেন। তখন সেটাই তার জন্য তাহিয়্যাহ। অনেকেই মসজিদে হারামে ঢুকেই বসে যান। আগে তাহিয়্যাতুল মসজিদ পড়ে বসতে হবে। অনেকের ধারণা, মসজিদে হারামে তাহিয়্যাতুল মসজিদ নেই। ধারণাটি ঠিক নয়।
আপনার মতামত লিখুন :