শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ২২ জুলাই, ২০২০, ১০:৫৪ দুপুর
আপডেট : ২২ জুলাই, ২০২০, ১০:৫৪ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

কাকন রেজা : সাহেদ ধরা পড়েছে, সব সমস্যা শেষ, কী বলেন!

কাকন রেজা : সাহেদ ধরা পড়েছে সব সমস্যা শেষ, কী বলেন? দেশে আর কোনো সমস্যা নেই, সাহেদই ছিলো প্রধান সমস্যা, ধরা পড়েছে অতএব নিশ্চিন্ত। অল কোয়ায়েট অন দ্য ওয়েস্টার্ন ফ্রন্ট। এরিখ মারিয়া রেমার্কের বেস্ট সেলার উপন্যাসের সমাপ্তি। অবস্থাদৃষ্টে তাই মনে হচ্ছে। কিন্তু তাই কী? গণমাধ্যম কৃষিমন্ত্রণালয়ের একটি কেনাকটার তালিকা দিলো। দেখা গেলো সেখানে রান্নাঘরের এক বটির দাম ধরা হয়েছে দশ হাজার টাকা। চামচ এক হাজার টাকা। স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বালিশ আর পর্দা কাণ্ডের সাথে পার্থক্যটা কোথায়! সোজা ভাষায় বলতে গেলে, সবই তো এক গোয়ালের গরু।

সাহেদের ‘বাটপারি’র পূর্বে যেসব ঘটনা সেসবের আপডেট কী? আচ্ছা, শামীম ধরা পড়ার পর ওই গ্রেডের আর কোনো টেন্ডারবাজ কি ধরা পড়েছিলো? না। ক্যাসিনো খালেদসহ কয়েকজনের পর আর কোনো আপডেট? নেই। পর্দাকাণ্ড, বালিশকাণ্ডে কেউ কি ধরা খেয়েছে? স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হাজার কোটি টাকা লোপাটের সাথে জড়িত সিন্ডিকেটের কেউ? সুইস ব্যাংকে যাদের নামে-বেনামে হাজারও কোটি টাকা, তেমন কোনো রথী-মহারথী? কানাডা, মালোয়শিয়ার সেকেন্ড হোমারদের কোনো জন? এমন অসংখ্য প্রশ্ন রয়েছে, যার বেশিরভাগেরই উত্তর জানা নেই। অবশ্য রথী-মহারথীদের ব্যাপারে ব্রাত্যজনদের জানার দরকারই বা-কী। এসব জানাশোনার চেয়ে সাহেদের কয় বিয়ে, কেমন করে বিয়ে, তার নারী কানেকশন, এসব রগরগে বিষয়গুলো জানি। করোনাকালে শরীর-মন চাঙা থাকবে। প্রয়োজনে ঘোড়া হয়ে টাঙ্গা টানা যাবে। তার সঙ্গে বড় টনিক তো ডা. সাবরিনার জোশ ফটো। করোনাকালে এগুলো দুঃশ্চিন্তা দূর করে ইমিউন সিস্টেমকে বুস্টআপ করার কাজে লাগবে নিশ্চয়ই।
অতএব রুদ্রনীল ঘোষের কবিতার মতন, ‘সাতেপাঁচে’ না থাকাই ভালো। ফেসবুকে ফুলের ছবি পোস্ট করা ভালো। ফুলের ছবি পোস্ট করে নিজে ‘ফুল’ হয়ে থাকাই ‘বেটার’। বোকারা সুখি আর বোবার শত্রু নেই। এটা সত্য মেনে ‘বারান্দা থেকে আমি নামি না’ ফর্মুলাটা অ্যাপ্লাই করা সর্বোত্তম। ‘তবে পাড়ায় এমএলএ এলে’ মানে বড়কর্তারা এলে অবশ্যই হাত নাড়তে হবে। না নাড়লেই কিন্তু কেলো। সমন্বয় করে চলতে পারলে কোনো চিন্তা নেই। ঝালে-ঝোলে কেটে যাবে জীবন। তবে খেয়াল রাখবেন যাই করেন, সীমা লঙ্ঘন করবেন না। নিজের সীমানাতেই থাকবেন। লঙ্ঘন করলেই বাটে। তখন? সাহেদের সংলাপেই বলি, ‘কাউকে ছাড়া হবে না।’

লেখক: সাংবাদিক ও কলামিস্ট।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়