গোলাম মোর্তোজা: করোনা ভ্যাকসিনকে ‘কমন গুড’র স্বীকৃতি দিতে হবে, শান্তিতে নোবেল বিজয়ী অর্থনীতিবিদ ড. মুহাম্মদ ইউনূসের গ্লোবাল আপিল। চীন ঘোষণা দিয়েছে তারা যে ভ্যাকসিন তৈরি করবে, তা ‘কমন গুড’ হিসেবে উম্মুক্ত করে দেবে। পৃথিবীর যেকোনো দেশ চীনের করোনাভাইরাস ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে পারবে। ড. ইউনূসের আপিলের সঙ্গে পৃথিবীর প্রখ্যাত ব্যক্তিত্বরা সম্পৃক্ত হয়েছেন। প্রায় ৩০ জনের মতো নোবেল লরিয়েট, ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট, প্যারিসের মেয়র, অলিম্পিকের প্রেসিডেন্ট, শিক্ষাবিদ-গবেষক, জার্মানির ঙঃঃড় গ্রুপের চেয়ারম্যান, ভারতের রতন টাটা, হলিউডের শ্যারন স্টোন, বলিউডের শাবানা আজমি, অনেকগুলো দেশের রাষ্ট্রপতি-সাবেক রাষ্ট্রপতি, ব্যবসায়ী-শিল্পপতি, প্রতিষ্ঠান, রাজনীতিবিদ সম্পৃক্ত হয়েছেন। ‘কমন গুড’ বাতাস-পানির উপর পৃথিবীর ধনী-গরিব সব মানুষের অধিকার আছে। করোনার ভ্যাকসিনের উপরও সব মানুষের অধিকার থাকতে হবে। যারাই করোনার ভ্যাকসিন আবিষ্কার করুক না কেন, পৃথিবীর সব দেশকে উৎপাদনের অধিকার দিতে হবে।
ধনী দেশ যখন করোনা ভ্যাকসিন পাবে, গরিব দেশও একই সময়ে করোনা ভ্যাকসিন পাবে। চীনের করোনা ভ্যাকসিন বাংলাদেশ বিনামূল্যে পাবে, তা নিশ্চিত করে বলা যায় না। তবে বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলো উৎপাদন করতে পারবে। সরকার ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানিগুলোর থেকে কিনে বিনামূল্যে দেশের সব মানুষকে ভ্যাকসিনের আওতায় নিয়ে আসতে পারবে। কারণ দেশে উৎপাদন করলে দাম অনেক কম পড়বে। ক্রমেই গুরুত্ব বাড়ছে ড. ইউনূসের এই আপিলের। প্রয়োজনে সামাজিক ব্যবসার মাধ্যমে ফার্মাসিউক্যাল কোম্পানি করে বাংলাদেশের ধনী-গরিব সব মানুষের জন্যে করোনার ভ্যাকসিন উৎপাদন করতে চাইছেন ড. ইউনূস। তিনি মনে করেন, বাংলাদেশের ফার্মাসিউটিক্যাল কোম্পানির যে সক্ষমতা তা দিয়ে দেশের চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী দেশগুলোকেও সহায়তা করা যাবে। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :