বিপ্লব বিশ্বাস : [২] কোটি কোটি জাল টাকা বাজারে ছাড়ার মিশন নিয়ে মাঠে নামেছে জাল নোট কারবারিরা। অন্যদিকে থেমে নেই র্যাব, পুলিশের তৎপরতা। একের পর এক অভিযানে এসব জালনোট কারবারিরা ধরা পরলেও থেমে নেই এদের কার্যক্রম।
[৩]সূত্র জানায়,এবার কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এই জালনোট ব্যবসায়িরা কমপক্ষে এক কোটি টাকার জাল নোট বাজারে ছেড়েছে। কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে সক্রিয় দেশী-বিদেশী প্রায় দুই হাজার সদস্য সক্রিয় রয়েছে। [৪]ইতোমধ্যে গোয়েন্দাদের তথ্যে এ সব জাল টাকার কারবারি চক্র ধরতে অভিযান শুরু করেছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। পশুর হাটসহ বিভিন্ন বানিজ্যিক বিপণীতে নজরদারি বারিয়েছে র্যাব-পুলিশ।
[৫]জানা গেছে, সারাদেশে প্রায় দেড় হাজার জাল টাকার কারবারি চক্রের বিরুদ্ধে মামলা বিচারাধানীন। গত দশ বছরে দেশের বিভিন্নস্থানে অভিযান চালিয়ে গ্রেপ্তার করা হয়েছে পাঁচ হাজার দেশী-বিদেশী জাল টাকার কারবারি চক্রের সদস্যকে। এরমধ্যে একইজন একাধিকবার গ্রেপ্তার হওয়ার পর জামিনে বের হয়ে আবারো জাল টাকার কারবারে তৎপরতা চালাচ্ছে এমন নজিরও আছে। গ্রেপ্তারকৃত জাল কারবারির মধ্যে নারী সদস্যও আছে।
[৬]সম্প্রতি র্যাব ও গোয়েন্দা পুলিশের হাতে তিনটি সংঘবদ্ধ জালনোট চক্রের সদস্যরা গ্রেপ্তার হয় । জিঞ্জাসাবাদে মিলে জালটাকা কারবারীদের তৎপরতা।
র্যাব-২ এর উপ-অধিনায়ক মেজর এইচ এম পারভেজ আরেফিন জানান, ১ কোটি টাকার জাল নোট ও তৈরির সরঞ্জামসহ রিফাত ও পলাশ গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
তিনি বলেন, চক্রটির মাঠ পর্যায়ে কিছু এজেন্ট রয়েছে তাদের ধারা মার্কেটে ছড়াচ্ছে। ইতোমধ্যে ৭০ লাখ টাকার জাল নোট বাজারে ছেড়েছে।
[৭]অন্যদিকে,রাজধানীর বংশাল ও দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ এলাকায় অভিযান চালিয়ে গোয়েন্দা পুলিশ জাল টাকা ও নোট তৈরির সরঞ্জামাদিসহ তিনজনকে গ্রেপ্তার করে।
[৮]গোয়েন্দা লালবাগ বিভাগের সংঘবদ্ধ অপরাধ ও গাড়ী চুরি প্রতিরোধ টিমের সহকারী পুলিশ কমিশনার (এসি) মধুসূদন দাস বলেন, কোরবানির ঈদকে সামনে রেখে এই চক্রটি জালনোট তৈরি করে আসছিলো। কোরবানির পশুর হাট, শপিংমল ও অন্যান্য আর্থিক লেনদেনের সময় কৌশলে বাজারে জাল নোট ছেড়ে দেয় এই চক্রের সদস্যরা। এসময় তাদের কাছ থেকে এক হাজার ও ৫০০ টাকা নোটের ৩২ লাখ জাল টাকা ও একটি ল্যাপটপ, একটি লেমিনিটিং মেশিন, দুইটি কালার প্রিন্টারসহ জাল টাকা তৈরির সরঞ্জামাদি উদ্ধার করা হয়। পূর্বে তারা গ্রেপ্তার হয়ে পুনরায় জাল টাকার ব্যবসায় নিয়োজিত হয়েছে।
অপরদিকে, রাজধানীর মোহাম্মদপুর এলাকায় অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ জাল টাকাসহ মো. শামসুল হক নামে একজনকে আটক করেছে র্যাব-১০।
র্যাব-১০ এর ভারপ্রাপ্ত কোম্পানি কমান্ডার এএসপি মো. আবুল কালাম বলেন, দীর্ঘদিন ধরে জাল টাকা ক্রয়-বিক্রয় চক্রের সদস্যরা কোরবানির ঈদে বেশি সক্রিয় থাকে। সেই মোতোবেক প্রতিটি পশুর হাটে গোয়েন্দা তৎপরতা বৃদ্ধি করা হয়েছে। এ ছাড়াও কিছু বানিজ্যিক বিপণিতেও ছদ্মবেশে র্যাব সদস্যরা উৎপেতে রয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :