সাবেত আহমেদ, গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি: [২] প্রশিক্ষক ফাতেমা-তুজ-জোহরা অভিযোগে জানিয়েছেন, অপরাজিতার মাধ্যমে নারী উদ্যোক্তাদের উৎপাদিত পণ্যসমূহের আধুনিকায়নের জন্য তিনমাস মেয়াদী এ কর্মসূচির প্রথম মেয়াদ সফলভাবে শেষ হয় গত জানুয়ারিতে।
[৩] এরপর সময় বৃদ্ধি করে দ্বিতীয় মেয়াদে কর্মসূচীটি শুরু হয় মার্চ মাসে। ২৫ মার্চ পর্যন্ত চলার পর করোনা সংকটের কারণে কর্মসূচীর কার্যক্রম বন্ধ হয়ে যায়। পরে বেতন প্রদানের সময় অদৃশ্য কারণে তিনিসহ কর্মসূচির দু’ প্রশিক্ষকের মার্চ মাসের বেতন ধরা হয় ১৬ কার্যদিবসের।
[৪] তবে এ বিষয়ে গোপালগঞ্জ মহিলা অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক মোঃ আজমীর হোসেন বলেছেন, উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষের নির্দেশনা অনুযায়ী প্রশিক্ষক ও অফিস-সহায়কদের বেতন ধার্য্য করা হয়েছে। গত জুন মাসে কর্মসূচিটির মেয়াদ শেষ হয়েছে। অফিস-সহায়করা দু’মাসের বেতন নিয়ে গেছেন; কিন্তু প্রশিক্ষক দু’জনের ১৬ কার্য্যদিবসের বেতন এখনও নেননি। বেতন তুলে নিতে তাদেরকে চিঠি দেয়া হয়েছে। তারা না নিলে তাদের এ টাকা সরকারি কোষাগারে ফেরৎ চলে যাবে। তিনি আরও জানান, কারও স্বাক্ষর জাল করা হয়নি। জরুরি ভিত্তিতে কাজকর্ম সারতে বেতন-শিটে তাদের নাম লিখে নেয়া হয়েছে।
[৫] এদিকে, নিয়োগপত্রে মাসিক বেতন ধার্য থাকলেও কর্মসূচির পরিচালক ফরিদা খানম সাংবাদিকদের জানিয়েছেন, নিয়োগ-চুক্তি অনুযায়ীই প্রশিক্ষকদের বেতন কার্য্যদিবসের ভিত্তিতে ধার্য্য করা হয়েছে। অফিস-সহায়কদের ক্ষেত্রে মাসিক ভিত্তিতে বেতন ধার্য্য রয়েছে। তবে, যেহেতু প্রথম ও দ্বিতীয় মেয়াদের মধ্যে একটি মাসের (ফেব্রুয়ারি) ব্যবধান ছিল, তাই নারী-বান্ধব এ কর্মসূচিটির ধারাবাহিকতা ধরে রাখতে শুধুমাত্র গোপালগঞ্জেই নয়, ফরিদপুর, ঢাকা ও গাজীপুরসহ ৭টি জেলার উপ-পরিচালকগণের মতামতের উপর ভিত্তি করে অফিস-সহায়কদেরকে ওই এক মাসের (ফেব্রুয়ারি) বেতন অতিরিক্ত দেয়া হয়েছে। কারও প্রতি কোনো বৈষম্য বা অন্যায় করা হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :