বাশার নূরু: [২] প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা, পুষ্টি চাহিদা পূরণ, কর্মসংস্থান ও অর্থনৈতিক উন্নয়নে মৎস্যখাত গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারে। এ লক্ষ্যে করোনা ভাইরাসের কারণে বিশ্বব্যাপী মহামারি পরিস্থিতিতে দেশের প্রতিটি জলাশয়ে আমি মাছ চাষের আহ্বান জানাই।
[৩] তিনি বলেন, প্রাকৃতিক জলাশয়ের সুষ্ঠু ব্যস্থাপনা, জলজ জীববৈচিত্র সংরক্ষণ, পরিবেশবান্ধব ও উন্নত প্রযুক্তিনির্ভর কার্যক্রম গ্রহণের ফলে দেশ আজ মৎস্য উৎপাদনে স্বয়ংসম্পূর্ণ। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার রিপোর্ট অনুযায়ী, বিগত ১০ বছরের হিসেবে মৎস্য উৎপাদন বৃদ্ধিতে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ২য়।
[৪] প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশের সাফল্য আজ বিশ্ব পরিমন্ডলেও স্বীকৃত। ইলিশ উৎপাদনে বাংলাদেশের অবস্থান বিশ্বে ১ম, অভ্যন্তরীণ মুক্ত জলাশয়ে মাছ আহরণে বাংলাদেশ ৩য় এবং বদ্ধ জলাশয়ে মাছ উৎপাদনে ৫ম। এসবই আমাদের সরকার কর্তৃক মৎস্য উন্নয়নে গৃহীত সময়োপযোগী ও যথোপযুক্ত কার্যক্রমের প্রতিফলন।
[৫] তিনি বলেন, মৎস্যখাত আওয়ামী লীগ সরকারের একটি অন্যতম অগ্রাধিকারভুক্ত খাত। বৈশ্বিক মহামারিজনিত প্রতিক‚ল পরিবেশে দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর পুষ্টি চাহিদা পূরণ ও রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে আমরা এ খাতে পরিকল্পিত উন্নয়ন কার্যক্রম বাস্তবায়ন করছি। মাঠ পর্যায়ে মৎস্যচাষি এবং সম্প্রসারণ কর্মীগণ উৎপাদন ব্যবস্থা সচল রাখতে নিরলস পরিশ্রম করে যাচ্ছেন।
[৬] শেখ হাসিনা বলেন, আমরা ইতোমধ্যে সমুদ্র সম্পদের সর্বোচ্চ ব্যবহার সুনিশ্চিত করার পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি। এ লক্ষ্যে গবেষণা ও জরিপ জাহাজ ‘আর ভি মীন সন্ধানী’ কর্তৃক জরিপ কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। লং লাইনার ও পার্সসেইনার নৌযানের মাধ্যমে আন্তর্জাতিক জলসীমায় টুনা এবং এ জাতীয় মৎস্য আহরণের উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে।
[৭] তিনি বলেন, সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় ২০২১ সালের মধ্যে বাংলাদেশ মধ্যম-আয়ের এবং ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত-সমৃদ্ধ দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করবে, ইনশাআল্লাহ। প্রতিষ্ঠিত হবে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙালি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আজীবন লালিত ক্ষুধা-দারিদ্র্যমুক্ত ও সুখী-সমৃদ্ধ স্বপ্নের সোনার বাংলাদেশ।
[৮] জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ ২০২০ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার দেয়া এক বাণীতে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :