টিভিএন প্রতিবেদন : ঈদুল আজহার এখনও দশদিন বাকি থাকলেও রাজধানীতে জমে উঠেছে পশুর হাট। শহরের আশে পাশের খামারগুলোতে অন্যান্য বারের চেয়ে ক্রেতা সমাগম বেশিই দেখা যাচ্ছে। করোনার কারণে হাটে ক্রেতার যেতে আগ্রহ না থাকায় খামারে ভির বাড়ছে। সেই সাথে বিক্রি হচ্ছে বড় গরুগুলোও।
ঢাকার মোহাম্মদপুরের সাদেক এগ্রো ফার্ম প্রতি বছরই বড় বড় আকর্ষণীয় গরু বাজারে এনে বেশ চমক সৃষ্টি করে। এবার এই খামারে এসেছে আমেরিকান ব্রাহমা জাতের কয়েকটি আকর্ষণীয় গরু। সেই সাথে আছে অন্যান্য জাতে গরুও। তবে এই খামারে ব্রাহমা জাতের লাল গরু যার নাম ‘রজো’ থেকে কেউ চোখ ফেরাতে পারে না।
সাদের এগ্রোর মালিক হাজি মো. ইমরান হোসেইন জানান, এবার ঈদের বড় গরুগুলো বিক্রি হবে কিনা তা শঙ্কিত ছিলাম। কিন্তু বড় গরুগুলো আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। তার খামারের রজো নামের গরুটি সর্বোচ্চ ৩৭ লাখ টাকা বিক্রি হয়েছে। এছাড়া খামারের অন্যান্য আকর্ষণীয় গরু যেমন দিলবার, টাইগার সহ অন্যান্য বড় গরু গুলোও বিক্রি হয়ে গেছে।
ইমরান হোসাইন আরও বলেন, করোনার কারণে এবার কোরবানি কম হতে পারে। তবে ঢাকার আশে পাশের খামারগুলোতে এর প্রভাব পড়ছে না। কারণ মানুষ হাটে না গিয়ে খামারের দিকেই ঝুকছে। হাট থেকে এখানে ভির কম থাকায় ক্রেতারা এখানে নিরাপদ মনে করছে। তবে হাটে ক্রেতা কম হওয়ায় প্রান্তিক খামারিরা লোকসানে পড়বে বলে মনে হচ্ছে। সেজন্য প্রান্তিক খামারিরা রয়েছেন দুশ্চিন্তায়।
তিনি বলেন, এবারের ঈদের জন্য খামারে অন্যান্য বারের মতোই গরু প্রস্তুত করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই অর্ধেকের বেশি গরু বিক্রি হয়ে গেছে। এবার শুধু গরু পৌঁছে দেয়া নয়, কাস্টমারকে গরু কটে প্যাকেট করে বাড়ি পৌঁছে দেয়ারও ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আপনার মতামত লিখুন :