জহিরুল ইসলাম আবীর: মানুষের জীবন আগে, সিনেমা হয় পরে,,মানুষের জীবনে ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলোই পরে নাটক-সিনেমায় রূপ দেওয়া হয়। আমাদের বাস্তব জীবনের ঘটে যাওয়া ঘটনাগুলো নাটক-সিনেমায় রুপ দিতে যে সকল হিরো আর হিরোইন ব্যবহার করা হয় তাদের মত আকার আকৃতি আর চেহারার মানুষ আমাদের সমাজে খুব একটা দেখা যায় না। আমাদের সমাজের ৯৯ শতাংশ মানুষই হিরো আলমের মতো, শাকিব খানের মতো মানুষ খুবই বিরল। চিন্তা করুন আমরা যারা হিরো আলমের মতো তারাই কিন্তু স্বপ্ন দেখি, আবেগ অনুভূতি, প্রেম-ভালোবাসা, সংসার, বাচ্চা-কাচ্চা আমাদেরই গল্প। নাটকে বিভিন্ন হিরোরা প্রেম ভালোবাসা, সংসার , চাকরি সবই করে কিন্তু বাস্তবে দেখেন তাদের প্রেম আর সংসার টিকে না, তাদের পড়াশোনার দৌড় খুব একটা বেশি না আর তারা চাকরি তো করেই না। আমাদের গল্পে অভিনয় করবে আমাদের মতো দেখতে বদসুরুত টাইপের লোক।
হিরো আলমের মতো মানুষেদের দিয়ে যদি ভালো গল্পের নাটক সিনেমায় অভিনয় করানো হতো তাহলে সমাজের মানুষরা এর থেকে প্রকৃত শিক্ষা নিতো এবং আপসোস করতো না যে, আমি কেন এতো সুন্দর হলাম না, নষ্ট ফিল্ম আর অপসংস্কৃতির স্রোতে গা ভাসাত না। একবার দেখলাম, আমাদের ক্রিকেটার মুশফিকুর রহিম হিরো আলমের সাথে সেলফি তুলেছে, সো হিরো আলম সময়ের সবচেয়ে বড় তারকা। গ্রামে যারা ক্ষেত-খামারে কাজ করে তারাও স্বপ্ন দেখে প্রেমিকাকে নিয়ে ড্যান্স করতেছে, সো তাদের আবেগ অনুভূতির বহিঃপ্রকাশ প্রকৃতপক্ষে ঘটবে হিরো আলমের দ্বারাই। হিরো আলম আমাদের প্রতিনিধি, হিরো আলম জিন্দাবাদ। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :