ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: [২] ঝিনাইদহ সদর থানার ওসি মিজানুর রহমান বলেন, মাদককে জিরোটলারেন্সে আনতে মাদক সরবরাহকারী, বিক্রেতা, ক্রেতা,ও সেবনকারীকে কোন অবস্থাতেই ছাড় দেওয়া হবে না। মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে তিনি সব শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা চেয়েছেন। এ অভিযান অব্যাহত থাকবে বলেও তিনি সাংবাদিকদের জানান।
[৩] ওসি মিজানুর রহমানের এমন তৎপরতার ব্যাপারে দেখা গেছে, ভ্রাম্যমান আদালতের সহযোগিতা নিয়ে ১৫.০৭.২০২০ থেকে ১৯.০৭.২০২০ তারিখ পর্যন্ত এই ৫দিনে মাদক নিয়ন্ত্রন আইনের বিভিন্ন অপরাধে প্রায় ১৭ জনকে কারাদন্ড প্রদান করা হয়েছে।
[৪] এরা হলো, সদর উপজেলার নগরবাথান গ্রামের রূপচাঁদের ছেলে ইমরান, নতুন কোর্ট পাড়া এলাকার গোলাম সরোয়ারের ছেলে ফারুক, গয়েষপুর গ্রামের রানা'র ছেলে পারভেজ, হাজীডাঙ্গা গ্রামের মোজাম্মেলের ছেলে আইনুদ্দিন, কুবিরখালী গ্রামের পিতা (অজ্ঞাত) ছেলে আনোয়ার হোসেন, কামতা গ্রামের সমসের আলীর ছেলে সদর আলী, পোড়া বেতাই গ্রামের মৃত. জগবন্ধু বিশ্বাসের ছেলে বিজিৎ বিশ্বাস, ডেফলবাড়ী গ্রামের মতিয়ার রহমানের ছেলে সুমন রায়হান, কুরাপাড়া কাঁঠালতলা এলাকার শঙ্কর দত্তর ছেলে শোভন দত্ত, ডেফলবাড়ী গ্রামের সাত্তারের ছেলে মিল্টন, সাধুহাটি গ্রামের ফটু কাজীর ছেলে শুকুর কাজী, বৈডাঙ্গা এলাকার সফিউদ্দিনের ছেলে সোহেল রানা, বাদপুকুরিয়া গ্রামের হারুনর রশিদের ছেলে সম্রাট মিয়া, নতুন কোর্ট পাড়া এলাকার মফিজ মুন্সির ছেলে শাহীন, গোয়াল বাড়ীয়া গ্রামের কেরামত আলীর ছেলে সাজেদ আলী, মডার্ন মোড় এলাকা থেকে আমিনুরের ছেলে মিন্টু এবং কোটচাদপুর থানার তালসার গ্রামের মৃত. আলীম মোল্লার ছেলে সাহাজান মোল্লা। এদেরকে বিভিন্ন মেয়াদে জেল ও অর্থদন্ড দেয়া হয়েছে।
[৫] এ বিষয়ে ওসি মিজানুর রহমান বলেন, সন্ত্রাস, জঙ্গিবাদ ও মাদকমুক্ত সমাজ গড়তে পুলিশ কাজ করে যাচ্ছে। সর্বোচ্ছ সাফল্য পেতে পুলিশের পাশাপাশি সমাজের বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের সহযোগিতা করতে হবে। এর মধ্যে সাংবাদিকদের ভুমিকা আরও গুরুত্বপূর্ণ বলে তিনি মনে করেন।
আপনার মতামত লিখুন :