শাহানুজ্জামান টিটু: [২] উপ-নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে দলের নীতিনির্ধারকরা। তবে শনিবারের স্থায়ী কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়নি।
[৩] বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, উপনির্বাচনে অংশ নেওয়ার ব্যাপারে সিদ্ধান্ত হয়নি। আমরা বগুড়া ও যশোর উপনির্বাচন পেছানোর দাবি করেছিলাম কিন্তু নির্বাচন কমিশন কথা শোনেনি। আগামীতে অনুষ্ঠিত হতে যাওয়া উপনির্বাচনগুলো অংশগ্রহণের বিষয়ে নতুন করে সিদ্ধান্ত নিতে হবে।
[৪] বিএনপির এক সিনিয়ার নেতা বলেন, তিনটি বিষয়কে গুরুত্ব দিয়ে ঢাকা-৫ ও ঢাকা-১৮ আসনে নির্বাচনে অংশ নেয়ার পক্ষে। এক. সাংগঠনিক স্থবিরতা কাটিয়ে নেতাকর্মীদের সক্রিয় করা। দুই. বিএনপি হারলে ক্ষমতাসীনদের আরও সমালোচনা করার সুযোগ পাবে। তিন. দুটি আসনই রাজধানীর প্রবেশ মুখ।
[৫] এই দুই আসনে নির্বাচন করার ব্যাপারে দলের মধ্যম সারির নেতারা ইতোমধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রচার প্রচারণা চালাতে শুরু করেছে। তবে ঢাকা ১৮ এরআগে আসনে স্থানীয় কোনো নেতাকে মনোনয়ন দেয়নি বিএনপি। সেক্ষেত্রে জাতীয় পর্যায়ের দুই নেতা দলের যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল বা বিশেষ সম্পাদক ড. আসাদুজ্জামানের মধ্যে একজনকে মনোনয়ন দিতে পারে।
[৬] যদি তারা নির্বাচনে আগ্রহ না দেখান তাহলে মহানগর উত্তর বিএনপির প্রথম যুগ্ম সম্পাদক এম এ কফিল আহমদ, বিএনপি নেতা বাহাউদ্দিন সাদী বা মহানগর যুবদলের সভাপতি এস এম জাহাঙ্গীর মনোনয়ন পেতে পারেন। এছাড়া ঢাকা-৫ আসনে বিএনপির সাবেক এমপি সালাউদ্দিন আহমেদ, মহানগর দক্ষিণের সহসভাপতি নবী উল্লাহ নবী অথবা মহানগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল বাশার, সাংগঠনিক সম্পাদক তানভির আহমেদ রবিন ও বিএনপি নেতা অধ্যক্ষ সেলিম ভূঁইয়া নাম শোনা যাচ্ছে। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :