শিমুল মাহমুদ: [২] আসন্ন ঈদুল আজহা উপলক্ষে ঢাকা-বরিশাল নৌপথে লঞ্চের কেবিনের অগ্রিম টিকিট বিক্রি শুরু হয়েছে। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অগ্রিম টিকিটের চাহিদা নেই বললেই চলে, এ কারণে ভিড় কম।
[৩] এদিকে পরিবহন সংশ্লিষ্টরা বলছেন, অগ্রিম টিকিটের কোনো চাহিদা নেই। তাই ঈদ কেন্দ্রিক কোনো প্রস্তুতিও নেই। বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির মহাসচিব খন্দকার এনায়েত উল্লাহ বলেন, অতিরিক্ত যাত্রীর চাপ থাকলে গাড়ি বাড়ানো হবে। অগ্রিম টিকেট বিক্রি হচ্ছে না। যাত্রী ৫০ শতাংশই থাকছে।
[৪] রেলের অতিরিক্ত মহাপরিচালক (অপারেশন) মিয়া জাহান বলেন, এবার ঈদে বাড়তি প্রস্তুতির কোনো পরিকল্পনা নেই। বাড়তি ট্রেন ও অগ্রিম টিকিট বিক্রি করলে জনসমাগম হবে, এতে করোনা ভাইরাসের সংক্রমণ বাড়তে পারে। তাই সরকারের নির্দেশনা অনুযায়ী ট্রেন যেভাবে চলছে, সেভাবেই চলবে। তবে সরকার যদি নতুন কোনো নির্দেশনা দেয়, তাহলে রেল তা বাস্তবায়ন করবে।
[৫] রেল সূত্র জানিয়েছে, করোনাভাইরাসের কারণে এবার রেল অগ্রিম টিকিট বিক্রি করবে না। বাড়তি ট্রেনও বহরে যোগ হবে না। ৫০ শতাংশ আসনে যাত্রী নিয়ে ট্রেন যেভাবে এখন চলছে ঈদেও সেভাবেই চলবে।
[৬] রোববার সকাল ১০টা থেকে বরিশালের লঞ্চ কাউন্টারগুলোতে একযোগে শুরু হয় অগ্রিম টিকিট বিক্রির কার্যক্রম। এবার আগে আসলে আগে পাবেন ভিত্তিতে টিকিট বিক্রি করছে লঞ্চ কর্তৃপক্ষ।
[৭] লঞ্চ মালিক সমিতির সভাপতি মাহবুব উদ্দিন আহমেদ বলেন, স্বাভাবিক সময়ের তুলনায় শতকরা ৭০ ভাগ যাত্রী কমেছে। আগে যেখানে প্রতিদিন ঢাকা থেকে ৮০টি লঞ্চ ছেড়ে যেত, বর্তমানে তা কমে দাঁড়িয়েছে ৬০টিতে। যাত্রী একবারে নেই। যাত্রী না থাকলে লঞ্চ বাড়িয়ে লাভ কি। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব
আপনার মতামত লিখুন :