নূর মোহাম্মদ: [২] রোববার সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের সংশ্লিষ্ট শাখায় এ আবেদন করা হয়েছে বলে জানান আজহারের আইনজীবী মোহাম্মদ শিশির মনির। ২৩ পৃষ্ঠার পুনর্বিবেচনার এই আবেদনে সর্বমোট ১৪ টি যুক্তি উপস্থাপন করা হয়েছে বলে জানান তিনি।
[৩] শিশির মনির বলেন, দুই নং অভিযোগের ঘটনাস্থল মোকসেদপুর। অথচ রাষ্ট্রপক্ষের ৩ নং সাক্ষি জবানবন্দীতে বলেছেন উত্তর রামনাথপুর। রাষ্ট্রপক্ষের ৩ নং ও ৬ নং সাক্ষির দাবি অনুযায়ী তারা ঘটনার প্রত্যক্ষ সাক্ষি। অথচ তাদের জবানবন্দী পর্যালোচনায় দেখা যায়, ওই সময় ৩ নং সাক্ষি ৫/৬ কিলোমিটার ও ৬ নং সাক্ষি ৩/৩.৫ কিলোমিটার দূরে অবস্থান করছিলেন। আপিল বিভাগ সাক্ষীদের বক্তব্যের এই বৈপরীত্য বিবেচনায় না নিয়ে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন।
[৪] তিনি বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের ৪ নং সাক্ষি জেরায় স্বীকার করেছেন, ঝাড়ুয়ার বিলের ঘটনায় আজহারুল ইসলাম জড়িত নন। আপিল বিভাগ মতামত প্রদান করেছেন ট্রাইব্যুনাল ভুলবশতঃ ইহা সত্য নহে শব্দসমূহ উল্লেখ করতে পারেনি এবং তাকে মৃত্যুদণ্ড প্রদান করেছেন।
[৫] শিশির মনির আরো বলেন, রাষ্ট্রপক্ষের ১০ নং সাক্ষি তার জবানবন্দীতে বলেছেন, তিনি এটিএম আজহারকে ১৯৭১ সালে চিনতেন কারণ আজহার তখন কারমাইকেল কলেজের ছাত্রনেতা ছিলেন। অথচ সাক্ষি কারমাইকেল কলেজের তৎকালীন ছাত্রলীগ কিংবা ছাত্র ইউনিয়ন নেতাদের নাম জানেন না। এমনকি কারমাইকেল কলেজের তৎকালীন অধ্যক্ষের নামও জানেন না। আপিল বিভাগ এই অংশ বিবেচনায় না নিয়েই মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :