শিমুল মাহমুদ: [২] সাবেক কূটনীতিক মো. হুমায়ুন করিব বলেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে চীনের বর্তমান উত্তেজনা এশিয়ার দেশগুলোতে প্রভাব ফেলছে। রিজিয়নাল মেট্রিক্স, দক্ষিণ এশিয়ার অঞ্চলের সম্পর্কে অনিরাপত্তা দেখা দিচ্ছে। মূলত ধর্মীয় দিক থেকে জাতীয়তাবাদ দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা ইন্দো-প্যাসিফিক এবং বিআরআই দুটোই এই অঞ্চলের সম্পর্ক নিরাপত্তায় প্রভাব ফেলবে। সারাবাংলা
[৩] তিনি বলেন, আমরা আমাদের ডিপ্লোমেসি এখনও প্রাতিষ্ঠানিক করে রেখেছি। আমাদের সেখান থেকে বের হয়ে আসতে হবে। আমাদের ডাইভারসিভ হতে হবে। গ্লোবাল কনভার্সনে আমাদের যুক্ত হতে হবে। আমাদের ইস্টের সঙ্গে ডিপ্লোমেসি ফোকাসটা আরেকটু বাড়ানো উচিত বলে আমি মনে করি। বিদেশের লোকদের কাছে পৌঁছানোর জন্য আমাদের ডিজিটাল কূটনীতির বিকাশ করা দরকার। ডোমেস্টিকেশন অব ফরেন পলিসি আমাদের দেশে খুবই দুর্বল। অপারেশনাল সেক্টরে এটা আরও বাড়াতে হবে।
[৪] তিনি আরও বলেন, ডিজিটাল ডিপ্লোমেসির চেয়ে সহজ পদ্ধতি আর নেই। দেশের ভাবমূর্তি উজ্জ্বল করার জন্য ডিজিটাল ডিপ্লোমেসির সঙ্গে তরুণদের যুক্ত করা প্রয়োজন। তরুণরা এক্ষেত্রে বিশাল ভূমিকা রাখতে পারে। আমরা যদি কূটনীতির সঙ্গে বিকাশকে সংযুক্ত করতে না পারি তবে যে সমস্যাগুলো হচ্ছে সেখানে কিন্তু লক্ষ্য অর্জন করতে পারব না।
[৫] অর্থনীতিবিদ ড. আখতার মাহমুদ বলেন, বিডা’র (ইওউঅ) মূল দায়িত্ব হচ্ছে বিদেশি বিনিয়োগ আকৃষ্ট করা। কিন্তু রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংকের জন্য মূলত বিদেশি বিনিয়োগকারীরা আকৃষ্ট হচ্ছে না।’ তাই বিডার সঙ্গে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ ব্যাংক একসঙ্গে কাজ করলে বা সমন্বয় থাকলে বিদেশি বিনিয়োগের এই প্রতিবন্ধকবতা এড়ানো সম্ভব বলে মনে করেন তিনি।
[৬] ইয়ুথ পলিসি ফোরামের আয়োজনে ‘রোড টু রিমফর্স এপিসড এক: বাংলাদেশ ফরেন পলিসি ইন দ্য ওয়েক অব কোভিড-১৯ প্যানডামিক’, শীর্ষক ভার্চুয়াল আলোচনায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
আপনার মতামত লিখুন :