সাইদ রিপন : [২] কাঁচা চামড়া আড়তদারদের মতে করোনার প্রভাবে বিশ্ববাজারে চামড়ার চাহিদা কমেছে। যে কারণে এবার কাঁচা চামড়ার দাম গত বছরের চেয়েও কমে যেতে পারে। ট্যানারি মালিকরাও মনে করছেন, গতবছরের চেয়ে এবার চামড়ার দাম কম হবে। তবে সরকারের নির্ধারণ করে দেওয়া দামের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে ফড়িয়ারা চামড়া কিনলে গতবারের মতো লোকসানে পড়তে হবে না। কাঁচা চামড়া আড়তদারদের সংগঠন বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশন পাওয়না টাকার বিষয়টি জানিয়েছে।
[৩] এ বিষয়ে সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক টিপু সুলতান বলেন, এবার বকেয়া টাকা ঈদের আগে না পেলে গতবারের মতো চামড়ার দাম কমে যাবে। সারাদেশের আড়াতদারদের বলতে গেলে কোনো টাকাই দেননি ট্যানারি মালিকরা। তাদের কাছে প্রায় ২০০ কোটি টাকা বকেয়া রয়েছে।
[৫] তিনি বলেন, প্রতি বছরই আমাদেরকে ট্যানারি ও ব্যাংক ঋণের ওপর নির্ভর করতে হয়। গত বছর বকেয়া টাকা পেতে দেরি হওয়ায় একটা বড় ধরনের সমস্যা তৈরি হয়েছিল। আমরা আশা করছি ট্যানারি মালিকরা এবার আগেভাগেই টাকা দিয়ে দিবে এবং আমরা ব্যাংক ঋণের সুবিধাও পাবো। আমাদের চামড়া কেনার প্রস্তুতি আছে। এখন অর্থ পেলেই হবে, তা না হলে গতবারের মতো অবস্থা হতে পারে।
[৫] বাংলাদেশ হাইড অ্যান্ড স্কিন মার্চেন্ট অ্যাসোসিয়েশনের দেওয়া তথ্য মতে, গত বছর দেশে ১ কোটি ৬ লাখের মতো গবাদিপশু কোরবানি হয়েছিল। এসব পশুর চামড়ার ১৫ থেকে ২০ শতাংশ নষ্ট হয়েছে। তাই এবার চামড়া স্লোর্টিং থেকে শুরু করে মাংশপেশি থেকে ছড়ানো পর্যন্ত এরপর যারা চামড়া কিনবেন তারা যেন দ্রুত লবণ দিয়ে সংরক্ষণ করে রাখেন সে বিষয়ে সতর্ক থাকতে বলেছে সংগঠনটি।
আপনার মতামত লিখুন :