মহসীন কবির : [২] কোভিড-১৯ এর কারণে দেশের আশা শ্রমিকরা পড়েছেন বিপাকে। কোভিডের প্রভাবে মধ্যপ্রাচ্যসহ বিভিন্ন দেশে কর্মহীন হাজার হাজার শ্রমিক। অনেক শ্রমিকের ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। সময় টিভি
[৩] জনশক্তি রফতানিকারক প্রতিষ্ঠানগুলোর সংগঠন বাংলাদেশ অ্যাসোসিয়েশন অব ইন্টারন্যাশনাল রিক্রুটিং এজেন্সির (বায়রা) তথ্যে জানা যায়, করোনা মহামারির শুরুর সময় ইস্যুকৃত ভিসা চূড়ান্ত পর্যায়ে ছিল ৮৫ হাজার ৪০৫টি। এসব ভিসাধারী শ্রমিকের অনেকেই সৌদি আরব, দুবাই, সিঙ্গাপুর, কাতার, কুয়েত সহ মধ্য প্রাচ্যের বিভিন্ন দেশে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় ছিলেন।
[৪] এছাড়া প্রক্রিয়ায় থাকা যাবতীয় প্রস্তুতি সম্পন্ন করে তাদের অনেকেই বিমানের টিকিটও কিনে রেখে ছিলেন। আবার কারো কারো ভিসা হয়েছিল, কিন্তু টিকিট কাটা হয়নি তাদের সকলের বিদেশে যাওয়া অনিশ্চিত হয়ে পড়েছে। এমনকি দ্রুত করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে প্রবাসী কর্মহীন শ্রমিকদের বাধ্য হয়ে দেশে চলে আসতে হবে এবং যারা বিদেশে যাওয়ার প্রক্রিয়ায় ছিলেন তারাও আর যেতে পারবেন না। ফলে চরম এক বিপাকে পড়তে যাচ্ছে বাংলাদেশের শ্রমবাজার।
[৫] বায়রার তথ্যে জানা যায়, এরই মধ্যে ২ হাজার ১৮৬টি ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। আরো ভিসার মেয়াদোত্তীর্ণের ঝুঁকিতে রয়েছে ৮২ হাজার ৫৮৯ জন শ্রমিক। ভিসা স্ট্যাম্পের জন্য অপেক্ষমাণ ছিলেন ৩০ হাজার ৪২২ জন। এছাড়া, ভিসা স্ট্যাম্পিং সম্পন্ন হয়েছে ১৯ হাজার ১৯৮ জনের, জনশক্তি ছাড়পত্র পেয়েছে ২২ হাজার ৯৮৭টি। ফ্লাইট বাতিল হয়েছে ৩ হাজার ৭৪ ও অন্যান্য প্রক্রিয়ায় আরো বাতিল হয়েছে ৬ হাজার ৯০৪টি।
[৬] এ বিষয়ে বায়রার মহাসচিব শামীম আহমেদ চৌধুরী নোমান বলেন, ‘এরই মধ্যে প্রায় ৩ হাজার ভিসার মেয়াদ শেষ হয়েছে। মেয়াদ শেষ হওয়ার ঝুঁকিতে রয়েছে আরো প্রায় ৮২ হাজার। এ সংখ্যা আরো বাড়তে পারে। এসব কর্মীর ভিসা প্রক্রিয়ার যাবতীয় কাজ করতে এজেন্সিগুলোর ১৫ কোটি টাকার বেশি খরচ হয়ে গেছে।’
আপনার মতামত লিখুন :