পীর হাবিবুর রহমান: মাত্র ৩৩ বছর বয়সী আমাদের ছেলে ফাহিম সালেহ। পৃথিবীর ব্যস্ততম বাণিজ্যিক নগরী নিউইয়র্কের ম্যানহাটনে, নিজের ফ্ল্যাটে কী নৃশংসভাবে খুন হয়েছেন। কতটা রোমহর্ষক বর্বর এ হত্যাকাণ্ড জেনেছে দুনিয়া। কদিন আগেও যে নগরী ছিলো করোনার অভিশাপে মৃত্যুর মিছিলের শোকার্ত নগরী। সেখানকার ব্যস্ততম ব্যবসা বাণিজ্যের প্রাণকেন্দ্র ম্যানহাটন কখনো ঘুমায় না। যতোবার নিউইয়র্ক যাই, আসার আগের রাতে ম্যানহাটনের নয়নকাড়া রূপটা দেখে আসি। যুক্তরাষ্ট্রের সেখানে এমন ভয়ংকর হত্যা। বৈদ্যুতিক করাতে ছিন্নভিন্ন দেহ। বুকটাও কেটেছে। ৩৩ বছরের জীবনে ১৫ বছরই উদ্যোক্তা ফাহিম। প্রযুক্তি বাণিজ্যে নিবেদিত মেধাবী সন্তান হিসেবে আলো ছড়ান। পাঠাওয়ের সাফল্য জনপ্রিয়তা দেখান। সাদামাটা জীবনযাপনে নির্বিবাদী বাণিজ্য ও কাজের ইবাদত মগ্ন ফাহিমকেও উন্নত দেশে সকল নিরাপত্তা ভেঙে খুন। করোনাও অমানুষদের মানুষ করেনি বর্বর করেছে। এখনও অসৎ প্রতারক ভণ্ড মিথ্যুক চতুর বিশ্বাসঘাতক চরিত্রহীন বিকৃত দুর্নীতিবাজ খুনিদের কী বেপরোয়া ঔদ্ধত্য। এখনও মৃত্যুর সামনে দাঁড়িয়েও মিথ্যা অহংকারীদের দম্ভের পতন হয়নি। চতুরতা লোভ বিকৃত নীতিহীন, সস্তা অমর্যাদা অসম্মানের জীবন কাটানোর, আজন্ম বেইমানির কোনো গ্লানি নেই, অনুশোচনা নেই। আছে মিথ্যা অহংকার আর টাকার লোভ।
অবৈধ বেআইনি মূল্যবোধহীন অর্থসম্পদের লোভ। পারিবারিক নৈতিক শিক্ষা অনেকের নেই। যাদের আছে তাদের অনেকের ভেঙে গেছে কবে লোভে। অমর্যাদার জঘন্য লোভের আনন্দময় জীবনযাপনে। যাদের আছে পারিবারিক সামাজিক মূল্যবোধ তারা লড়ছে। যন্ত্রণাভোগ করছে। মানুষ ফেরেশতা নয়, ভুলত্রুটি জীবনে মহৎ মানুষদেরও আছে। আমরা সাধারণেরতো হামেশাই হয়। তবে নীতিবোধ থাকতে তো হয়। কিন্তু জেনেশুনে সিদ্ধান্ত নিয়ে। প্রতারণা, লোভ, সস্তামি, বেঈমানি, অরুচি বিশ্বাসঘাতকতা, দুর্নীতি চরম বিকৃত জীবনতো অপরাধ। ইতালির দৈনিক আরব নিউজের পর, এখন আলজাজিরা, গার্ডিয়ান, নিউইয়র্ক টাইমসে আমাদের দেশের করোনা বাণিজ্যের নেতিবাচক খবর। সাবরিনা, আরিফ, সাহেদের জেকেজি, রিজেন্টের, করোনার ভুয়া রিপোর্ট বাণিজ্যের খবর। কতোজনের কতো ধান্ধা কতো মতলব কত লোভ। পৃথিবীর মানুষকে করোনা বদলে দেবে, মানবিক সৎ জীবনযাপনের বাঁকে নিয়ে আসবে। এমনটা আর হলো কই। ভেজাল খাবার, মুনাফালোভীদের চড়া পণ্য সয়েছি। এখন অমানবিক চিকিৎসা, ভূতুড়ে বিল, ভেজাল ওষুধ ও সহ্য করতে হচ্ছে। কী এক অমানবিক পৃথিবী ও মানুষ। করোনার এতো মৃত্যুর মুখেও নিজেদের বদলাতে পারেনি। করোনা গেলে এরা আরও বেপরোয়াই হবে। কী অসহায়ত্ব। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :