দীপু তৌহিদুল: ফাহিম সালেহ খুন হয়ে যাওয়ার পরপর প্রবাসী বাংলাদেশিদেরই একটি অংশ তাকে ছোট করার জন্য নানা রকমের কুু-ইঙ্গিত করেছিল। এর কারণ ফাহিমের অতি অল্প বয়সের সাফল্যে এরা সহ্য করতে পারেনি বাংলাদেশের হিংসার সংস্কৃতির প্র্যাকটিসটা বজায় রাখতে গিয়ে। বিদেশে গিয়ে আপনি শারীরিক শ্রমে দিচ্ছেন খুব ভালো কথা, কিন্তু ফাহিম খুন হওয়ার পরপর কী কী কারণে তার ইস্যুতে নির্মম আচরণ করলেন? ফাহিম তো আপনাদের মতনই ইউএসেতে ছিলো, তাহলে তার খুনরে কীসের জন্য নোংরা করেছেন সেটার ব্যাখ্যাটা আমাদের কাছে স্পষ্ট।
আসলে ফাহিম তার মগজ ব্যাবহার করে অতি অল্প বয়সেই সফল হয়েছেন, যা কিনা প্রবাসী অনেকেরই বদ হজম হয়েছে। এরা নিজের সাথে ফাহিম নামের মেধাবী ছেলেটারে গুলিয়ে ফেলে একটা সুপ্ত রাগ প্রকাশ করেছেন। প্রবাসী বাংলাদেশিরা আমাদের দেশে থাকাদের মতন সকল কু-কর্ম করে বলে অনেক অভিযোগ পাওয়া যায়। যারা বলেন, সভ্য দেশে থাকলে সভ্য হয়-সেটা ভুল। মানুষের আচরণটা নির্ভর করে তার নিজের শিক্ষার উপর।
ফাহিম সালেহ কোটিতে একজন হয়, তাই তারে হিংসা করতে যাবেন না। আপনি কি প্রবাসী? আপনার ছেলে কিংবা মেয়ে যদি ফাহিমের মতন সফল হতো তাহলে কি অনুভব করতেন সেটা নিয়ে ভাবুন। সব শেষে বলি প্রবাসী বাংলাদেশি যারা ফাহিম সালেহ খুন হওয়ার পরপর আমাদের দ্বিধান্বিত করেছে এলোমেলো বক্তব্য দিয়ে তারা চরম অন্যায় করেছেন। নিজের মনের রং সব ক্ষেত্রে খুলে দেখাতে হয় না।
পাশাপাশি বলতে চাই দেশের সাংবাদিকরাও নোংরা কাজ করেছেন ‘নিউইয়র্কে দামি ফ্ল্যাটে বাংলাদেশি খুন’ এইটা কোনো নিউজ হেড না, এইটা হচ্ছে টাকার জলুনি। ফাহিমের খুন হওয়ার পর বাংলাদেশের গণমাধ্যম কোনো দায়িত্বশীল আচরণ করেনি হিংসার প্র্যাকটিসখান বজায় রাখতে গিয়ে। আসলে সাংবাদিকরা এখন সবার আগে টাকার হিসেবটাই করে, মানবিকতারে এরা গুল্লি মেরে উড়িয়ে দিয়েছে বহু আগেই। ফেসবুক থেকে
আপনার মতামত লিখুন :