রফিকুল ইসলাম: [২] গাইবান্ধার ব্রহ্মপুত্র, ঘাঘট ও করতোয়া নদীর পানি শনিবার পর্যন্ত এখনও বিপদসীমার অনেক উপর দিয়ে প্রবাহিত হওয়ায় জেলার সার্বিক বন্যা পরিস্থিতি অবনতি অব্যাহত রয়েছে।
[৩] করতোয়া নদী তীরবর্তী এলাকা পলাশবাড়ি ও গোবিন্দগঞ্জ উপজেলার নতুন নতুন এলাকা প্লাবিত হচ্ছে। এদিকে দীর্ঘদিন পানিবন্দী থাকায় শুকনো খাবার, গবাদি পশুর খাদ্য সংকট, জ্বালানি, পয়ঃনিস্কাশন ও বিশুদ্ধ পানির অভাবে বন্যা কবলিত এলাকার পরিবারগুলো চরম দুর্ভোগ পোহাচ্ছে। বন্যা নিয়ন্ত্রণ বাঁধে আশ্রিত পরিবারগুলো একই কারণে নানা দুর্ভোগ পোহাচ্ছে।
[৪] সিভিল সার্জন ডা. এবিএম আবু হানিফ বলেন, বন্যা উপদ্রæত এলাকায় ৬১টি মেডিকেল টিম সার্বক্ষণিক কাজ করছে। পানি উন্নয়ন বোর্ড জানিয়েছে, এখন ব্রহ্মপুত্র নদের পানি বিপদসীমার ৯৪ সেন্টিমিটার, ঘাঘট নদীর পানি ৬৮ সেন্টিমিটার এবং করতোয়া নদীর পানি ১২ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
[৫] গাইবান্ধা জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা সুত্রে জানা গেছে, জেলার সদর, সুন্দরগঞ্জ, সাঘাটা ও ফুলছড়ি উপজেলার ২৬টি ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের ১ লাখ ৩১ হাজার ৩২০ মানুষ পানিবন্দি হয়ে পড়েছেন। ক্ষতিগ্রস্ত মানুষের জন্য দ্বিতীয় দফায় এ পর্যন্ত ২১০ মেট্রিক টন চাল ও নগদ ১৯ লাখ ৫০ হাজার টাকা, শিশুখাদ্য চার লাখ টাকার, গো-খাদ্য দুই লাখ টাকার ও ৩ হাজার ৬০০ প্যাকেট শুকনো খাবার বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। পর্যায়ক্রমে এগুলো বিভিন্ন ইউনিয়নে বিতরণ কার্যক্রম চলছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :