মো. আখতারুজ্জামান : [২] বিএপিএলসির সভাপতি আজম জে চৌধুরী বলেন, পুঁজিবাজারে যখনই অনিয়ম হবে, তখনই শাস্তি প্রদান করতে হবে। পুঁজিবাজারে এ মুহূর্তে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় তারল্য। তবে নন-ব্যাংকিং আর্থিক প্রতিষ্ঠানের কাছে টাকা নেই। যদিও এরা প্রাইমারি ইনভেস্টর। শনিবার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জ আয়োজিত এক অনলাইন সেমিনারে তিনি এ কথা বলেন।
[৩] আজম জে চৌধুরী বলেন, ব্যাংকগুলোর সমস্যা নন পারফরমিং লোন। পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে কোনো ব্যাংক সমস্যায় আছে এমন কোনো তথ্য আমার জানা নেই। অথচ ব্যাংকগুলোকে ইক্যুইটির ২৫ শতাংশ পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের সীমা বেঁধে দেয়া হয়েছে। এটা ঠিক না। বিনিয়োগ কী পরিমাণ করবে, সেটা ব্যাংকের ওপরই ছেড়ে দেয়া উচিত।
[৪] ব্র্যাক ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক সেলিম আর এফ হুসাইন বলেন, ফ্লোর প্রাইসের কারণে পুঁজিবাজারে সবচেয়ে বড় ক্ষতি হয়েছে। এটা তুলে দেয়ার ব্যাপারে প্রত্যেকে বলেছেন। খবরের কাগজে মিডিয়ায় বহু লেখালেখি হচ্ছে। যারা বোঝেন, তারা সবাই বলেছেন এই ফ্লোর প্রাইস যদি থাকে, তাহলে পুঁজিবাজার শেষ হয়ে যাবে। ক্ষুদ্র কিছু বিনিয়োগকারী বুঝতে পারে না। তাদের ফাইন্যান্সিয়াল লিটারেসির অভাব আছে।
[৫] তিনি বলেন, ফ্লোর প্রাইসের কারণে মার্কেটে তারল্যের মন্দাবস্থা। এছাড়া এই পদ্ধতির কারণে ব্রোকারেজ হাউজ ও মার্চেন্ট ব্যাংকগুলো আস্তে আস্তে শেষ হয়ে যাচ্ছে। এটি যদি আর কয়েক মাস থাকে, তাহলে প্রাতিষ্ঠানিক স্টেকহোল্ডাররা বিলুপ্ত হয়ে যাবে। ফ্লোর প্রাইসের কারণে লেনদেন হচ্ছে না। কোনো কোনো প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো বেতন দিতে পারছে না। এদিকে বড় করে খেয়াল রাখা দরকার।
আপনার মতামত লিখুন :