সুজিৎ নন্দী : [২] আসন্ন ঈদুল আজহা সামনে রেখে পাঁচটি পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত হলেও রোববার আরো ৭টি পশু হাটের টেন্ডার অনুষ্ঠিত হবে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনে (ডিএসসিসি)। তবে কয়টি হাট দেয়া হবে সেটি চূড়ান্ত করবে মেয়র ব্যারিস্টার ফজলে নূর তাপস। তিনি জানান, একটি স্থায়ী হাট বাদে আরো ১৪টি হাট ইজারা দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। কিন্তু এখন হাট কমানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছি। এবছর ঢাকায় কোনো অবৈধ হাট বসতে দেওয়া হবে না।
[৩] ডিএসসিসির দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, কোভিড-১৯ কারণে কোরবানির পশুর হাটের সংখ্যা কমানোর সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। ইতোপূর্বে একটি স্থায়ী হাটসহ ১৫ অস্থায়ী হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হলেও করোনার কারণে এখন ৮টি হাট বসানোর কথা ভাবা হচ্ছে। তবে সোমবারই সব চূড়ান্ত হচ্ছে।
[৪] দক্ষিণ সিটির প্রধান সম্পত্তি কর্মকর্তা রাসেল সাবরিন বলেন, অনলাইন হাট বিষয়ে অনেক প্রতিষ্ঠানই আমাদের সঙ্গে আলোচনা করছে। সব কিছু বিবেচনা করে আমরাও পরে এমন সিদ্ধান্ত নিতে পারি। তবে এখনও কোনো চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। এরই মধ্যে অনলাইনে গরু বেচাকেনা শুরু হয়েছে। কেউ যেন বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করতে না পারে তা মনিটরিং করা হবে।
[৫] ডিএসসিসির মেয়র মোহাম্মদ হানিফ মিলনায়তনে দরপত্রগুলো খোলা হলে ১৪টি হাটের মধ্যে ধূপখোলা মাঠ সংলগ্ন খালি জায়গায় নির্ধারিত অস্থায়ী পশুর হাটে, শ্যামপুর বালুর মাঠ এবং দনিয়া কলেজ মাঠ সংলগ্ন আশপাশের খালি জায়গার অস্থায়ী হাটের জন্য কোনো দরপত্র জমা পড়েনি। এগুলো এবার দেয়া হবে না।
[৬] ডিএসসিসির এক কর্মকর্তা বলেন, এবছর ৮ থেকে ১০টি অস্থায়ী পশুর হাট বসানোর সিদ্ধান্ত নিচ্ছে ডিএসসিসি। হাটে একদিক দিয়ে প্রবেশ এবং অন্যদিক দিয়ে বের হওয়ার রাস্তা করে দেওয়া হবে। ক্রেতা ও বিক্রেতার মধ্যে তিন ফুট দূরত্ব বজায় রাখতে বৃত্ত করে দেওয়া হবে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :