সোহাগ হাসান: [২] বসত বাড়ি তলিয়ে যাওয়ায় ভানবাসি মানুষেরা বিভিন্ন ওয়াবদা বাঁধে আশ্রয় নিয়েছে। এসব বাঁধে শোচাগার ও টিউবওয়েল না থাকা চরম বিপাকে পরেছেন তারা। ১৯৮৮ সালের মত বন্যার আশঙ্কায় দিন কাটাচ্ছেন নদী তীরবর্তী অঞ্চলে বসবাসকারীরা।
[৩] শনিবার দুপুরে সিরাজগঞ্জ পয়েন্টে যমুনার পানি রেকর্ড করা হয়েছে ১৪ দশমিক ৩২ মিটার। যা বিপদসীমার ৯৭ সেন্টিমিটার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। গত ১২ ঘণ্টায় যমুনার পানি ৪ সেন্টিমিটার কমেছে।
[৪] এদিকে, যমুনার পানি ধীরগতি কমাতে প্রচণ্ড ঘূর্ণাবর্তে কিছু স্থানে এখনও ভাঙ্গন অব্যাহত রয়েছে। সদর উপজেলার শিমলায় ধ্বসে বিলীন হওয়া পাউবোর সলিড স্পারের অদুরে প্রচণ্ড আঘাতে ভাঙ্গন অব্যাহত আছে। অপরদিকে শাহজাদপুরের কৈজুরী ও এনায়েতপুরে থেমে থেমে ভাঙ্গন থাকায় অসহায় হয়ে পড়েছেন এখানকার বন্যাকবলিত মানুষ।
[৫] সিরাজগঞ্জ পানি উন্নয়ন বোর্ডের উপ-সহকারী প্রকৌশলী রণজিৎ কুমার সরকার জানান, শুক্রবার রাত থেকে যমুনার পানি কমতে শুরু করেছে। আগামী দু’একদিন পানি কমে আবার বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। জেলা ত্রাণ ও পুনর্বাসন কর্মকর্তা আব্দুুর রহিম জানান, সদর, কাজীপুর, বেলকুচি, উল্লাপাড়া, চৌহালী ও শাহজাদপুর উপজেলার ২২৪টি গ্রামে এ পর্যন্ত ৪৭ হাজার ২১৭টি পরিবারের প্রায় সোয়া দুই লাখ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী
আপনার মতামত লিখুন :