লাইজুল ইসলাম : [২] কোভিড-১৯ রোগে সংক্রমিতদের চিকিৎসার জন্য রাজধানীসহ দেশের প্রত্যেকটি জেলায় খোলা হয়েছে নির্ধারিত কোভিড হাসপাতাল। এসব হাসপাতালে আইসোলেশন সিটের সংখ্যা ১৪ হাজার ৭১৫ টি। আইসিইউ আছে ৩৭৬টি। হাসপাতালে আইসোলেশনে আছেন ৪ হাজার ৭৯ জন, আইসিইউতে আছেন ২১০ জন সর্বোমোট ৪ হাজার ২৮৯ জন। হাসপাতালের বেড খালি আছে ১০ হাজার ৬৩৬ এবং আইসিইউ খালি আছে ১৬৬টি।
[২] কুয়েত মৈত্রি হাসপাতালের পরিচালক ডা. সিহাব বলেন, তার হাসপাতালের ১৬৯টি শয্যা ও ১৬টি আইসিইউ আছে। রোগি ভর্তি আছে ১২৯ জন। মানুষ আগের থেকে সচেতন হয়েছেন। প্রাথমিক চিকিৎসা বাসায় করতে পারায় হাসপাতালে রোগির সংখ্যা কমেছে। বিশেষ সমস্যা না হলে কেউ এখন হাসপাতালে আসছে না। কোভিড চিকিৎসায় মানুষের আস্থা মোটেও কমেনি।
[৩] হলি ফ্যামিলি হাসপাতালের পরিচালক ডা. মো মোরশেদ বলেন, ৪০০ শয্যার স্থানে রোগি আছে ১৪৫ জন। মুমূর্ষ অবস্থায় ছাড়া কেউ আসছে না। মানুষ সচেতন ও সাবধানী হওয়ায় সংক্রমন কমেছে। যারা আইসিইউতে ঢুকছে তাদের বাঁচিয়ে রাখা কঠিন হয়ে পরেছে।
[৪] এক প্রশ্নর উত্তরে মোরশেদ বলেন, এখনই বন্ধ করা যাবে না কোভিড হাসপাতাল। তবে অক্সোবর নভেম্বরে রোগের সংক্রমন কমে আসবে। তখন এত হাসপাতাল লাগবে না। তারপরও সব কিছু নির্ভর করে সরকারের নীতিনির্ধারকদের ওপরে।
[৫] স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. নাসিমা সুলতানা বলেন, কোভিড হাসপাতাল বন্ধ করে দেয়ার মত পরিবেশ এখনো আমাদের হয়নি। তাছাড়া এ বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিবে নীতিনির্ধারকরা। এখন পর্যন্ত এ বিষয়ে মন্ত্রণালয় থেকে এমন কোনো নির্দেশনা আমাদের কাছে আসেনি। আমরাও এমন কিছু এখনো চিন্তা করিনি।
[৬] উল্টো সিদ্ধান্ত এমন হয়েছে, দেশের সব হাসপাতাল এখন একপাশ কোভিড অন্যপাশ নন কোভিড। আর ডেডিকেটেডগুলোও থাকবে। নতুন করে হাসপাতাল নেয়া বা বন্ধ করার বিষয়ে এখনো অনেক কিছু ভাবার আছে। সব হাসপাতাল পর্যবেক্ষণে আছে। মন্ত্রণালয় যদি নির্দেশনা দেয় তবে অধিদপ্তর তা বাস্তবায়ন করবে। তবে কোভিঢ হাসপাতাল বন্ধের বিষয়ে এখনো কোনো সিদ্ধান্ত হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :