রাশিদ রিয়াজ : [২] আয়ুষ্কাল বেড়ে যাওয়ায় ব্রিটিশ নারীরা ৭০ বছর বয়সেও স্বামীর প্রয়োজন বেশি মনে করছেন। কিন্তু বর্তমানে প্রাপ্তবয়স্কদের মধ্যে বিয়ের ইচ্ছে খুবই কম। ডেইলি মেইল
[২] ষোল বছরের বেশি এমন তরুণ তরুণীদের অর্ধেকই ইংল্যান্ড ও ওয়েলসে বিয়ে করতে চান না। ব্রিটেনের অফিস ফর ন্যাশনাল স্ট্যাটিসটিক্স বলছে সব বয়সের নারী পুরুষের বিয়ের ইচ্ছে কমলেও ৭০ বছরের ব্যক্তিদের ক্ষেত্রে বিয়ের আগ্রহ বাড়ছে।
[৩] গত বছর ইংল্যান্ডে ২ কোটি ৩০ লাখ ১৫ হাজার ৯১৫ জন বিয়ে করেন অথবা এক সঙ্গে থাকছেন। দেশটির জনসংখ্যার ৫০.৬ শতাংশেরই বিয়ের বয়স হয়ে গেছে। একই বছর ওয়েলসে বিয়ের সংখ্যা ৪৮.৬ শতাংশ বা ১২ লাখ ৫৭ হাজার ৪২ জন যা আরো কম।
[৪] এক দশক আগের চেয়ে ব্রিটেনে পুরুষের ক্ষেত্রে বিয়ে হ্রাস পেয়েছে ১.৯ ও নারীদের ক্ষেত্রে ১.৪ শতাংশ। ৫০ থেকে ৬৯ বছর বয়সের নারী পুরুষের ক্ষেত্রে এ হার সাড়ে ৫ শতাংশ। অথচ ৭০ বছর হলেই এ হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৫৪.৮ শতাংশে যা এক দশক আগের চেয়ে ৩.৮ শতাংশ বেশি।
[৫] গত বছর ১৬ থেকে ২৯ বছর বয়সের ব্রিটিশ তরুণ তরুণীদের ১০ জনের মধ্যে ৯ জনই অবিবাহিত ছিল। কারণ অধিকাংশই আইনী বাতাবরণের মধ্যে সম্পর্ককে জড়াতে চান না।
[৬] ফলে চিরকুমার কিংবা চিরকুমারীর সংখ্যা বাড়ছে। এক তৃতীয়াংশের বেশি যাদের বয়স ১৬ বা তারচেয়ে বেশি (১৫,৯২৫, ০২৭) তারা গত বছর একা ছিলেন। এদের মধ্যে ৮.২ শতাংশ ডিভোর্সি এবং সাড়ে ৬ শতাংশ বিধবা অথবা বিপত্নিক।
[৭] ৩৮.৩ শতাংশ পুরুষ ও ৩১.৮ শতাংশ নারী একা থাকেন। সেন্টার ফর এজিং এন্ড ডেমোগ্রাফিকের পরিচালক আমান্ডা শরফম্যান বলেন ১৬ বছরের বেশি বয়স এমন ব্রিটিশ নারী ও পুরুষের জনসংখ্যার গঠনে ধীর পরিবর্তন দেখা যাচ্ছে।
আপনার মতামত লিখুন :