শিরোনাম
◈ বাংলাদেশ ব্রাজিল থেকে ইথানল নিতে পারে, যা তেলের চেয়ে অনেক সস্তা: রাষ্ট্রদূত ◈ যুক্তরাষ্ট্র সরে এলে বিশ্বরাজনীতিতে নেতৃত্ব দেবে কে: বাইডেন ◈ মিয়ানমার সেনাসহ ২৮৮ জনকে ফেরত পাঠালো বিজিবি ◈ উপজেলা নির্বাচনে অংশ নেওয়ায় বিএনপির ৬৪ নেতাকে কারণ দর্শানোর নোটিশ ◈ বর্ধিত ভাড়ায় ট্রেনের আগাম টিকিট বিক্রি শুরু ◈ বাড়ছে না শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের ছুটি ◈ আরও তিন মামলায় জামিন পেলেন মামুনুল হক ◈ সাজেকে ট্রাক খাদে পড়ে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ৯ ◈ তাপপ্রবাহে উচ্চ স্বাস্থ্য ঝুঁকিতে শিশুরা,  বাড়তি সতর্কতার পরামর্শ ইউনিসেফের ◈ মন্ত্রী ও এমপিদের নিকটাত্মীয়রা প্রার্থিতা প্রত্যাহার না করলে সময়মতো ব্যবস্থা নেওয়া হবে: ওবায়দুল কাদের 

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২০, ১১:৩৭ দুপুর
আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০২০, ১১:৩৭ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ডা. সাবরিনার বিরুদ্ধে অভিযোগ প্রমাণিত হলে যে সাজা হতে পারে

নূর মোহাম্মদ : [২] প্রতারণার মামলায় দ্বিতীয় দফায় রিমান্ডে রয়েছেন সাময়িক বরখাস্ত হওয়া ডা. সাবরিনা চৌধুরী। অভিযোগ রয়েছে, চলতি বছরের ১৬ জুন সিটি করপোরেশন থেকে জেকেজি’র ট্রেড লাইসেন্স নেওয়া হয়। অথচ ৬ এপ্রিল স্বাস্থ্য অধিদপ্তর থেকেই নমুনা সংগ্রহের অনুমতি পায়। আর একটি বুথের অনুমতি থাকলেও স্বাস্থ্য অধিদপ্তরকে অবগত না করে ৪০টির মতো অবৈধ বুথ স্থাপন করেছে তারা।

[৩] বুথ, হটলাইন ও বিভিন্নভাবে প্রচারণা চালিয়ে জেকেজি ২৭ হাজার মানুষের কোভিড নমুনা সংগ্রহ করে। আর বিনামূল্য নমুনা সংগ্রহের অনুমতি নিয়ে প্রতি রোগীর কাছ থেকে ৫ হাজার ও বিদেশি নাগরিকের কাছ থেকে ১০০ ডলার করে নিয়েছে তারা। এভাবে তিন মাসে ৮ কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়েছে সাবরিনা ও আরিফের প্রতিষ্ঠান জেকেজি।

[৪] তদন্ত সংশ্লিষ্টরা বলছেন, সাবরিনার ব্যবহৃত মোবাইল নম্বরটি যে জাতীয় পরিচয় পত্র দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করা হয়েছে সেটি পারভীন আক্তার নামের এক নারীর। সাবরিনা ও আরিফের গুলশান-২ এ কনফিডেন্স টাওয়ারের ১৫ তলায় জেকেজির কার্যালয়ে অভিযান চালিয়ে ল্যাপটপ, কোভিডের জাল সনদ, পরীক্ষার কিট, বিদেশি মদের বোতল, ইয়াবা সেবনের সরঞ্জাম উদ্ধার করেছে পুলিশ। জানা গেছে এই কক্ষে প্রতিদিনই মদ, ইয়াবা ও নারীর আসর বসানো হতো।

[৫] সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির সভাপতি এ এম আমিন উদ্দিন বলেন, প্রতারণার মামলা হলেও তার বিরুদ্ধে তদন্ত চলছে। তদন্তে যেসব বিষয় উঠে আসবে সেগুলোর জন্য পৃথক মামলা হবে। অবৈধ উপায়ে অর্থ উপার্জনের দায়ে মানিলন্ডারিং আইনে মামলা হবে। মাদক উদ্ধার হলে মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ আইনে, চাকরিতে অনিয়মিত থেকে বেতন-ভাতা নেওয়ার ঘটনায় প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া যাবে।

[৬] সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, কেউ সরকারি চাকরিতে থেকে ব্যবসা করতে পারেনা। সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ রয়েছে। সরকারের সঙ্গে প্রতারণা ও চুক্তি ভঙ্গ করেছে। এ জন্য পৃথক মামলা হতে পারে বলে জানান তিনি।

[৭] এছাড়া, সাবেক ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল ও সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মোতাহার হোসেন সাজু বলেন, প্রতারণার সঙ্গে ক্ষমতার অপব্যবহারও করেছে ডা.সাবরিনা। প্রতারণার অভিযোগে দণ্ডবিধির ৪৬৭, ৪৬৮ ও ৪৭১ ধারায় মামলা হতে পারে। প্রতারনার অভিযোগে সর্বোচ্চ সাত বছরের সাজার বিধান রয়েছে। মিথ্যা রিপোর্ট দেওয়ায় যারা ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছেন তারা ক্ষতিপূরনের মামলা করতে পারবেন। আর মিথ্যা রিপোর্ট নিয়ে কেউ চিকিৎসার অভাবে মারা গেলে ৩০৪ (ক) ধারায়ও মামলা করতে পারবেন।

[৮] তিনি বলেন, মিথ্যা রিপোর্ট নিয়ে কেউ অন্যদের আক্রান্ত করার কারনে সংক্রামক রোগ প্রতিরোধ আইনেও মামলা করা যায়। প্রতারণা করে অবৈধ অর্থ উপার্জনের কারণে দুদক আইনের ২৬ ও ২৭ ধারা অনুযায়ী মামলা করা যাবে। এ ধারায় সর্বোচ্চ শাস্তি ১০ বছরের কারাদণ্ড। যার নামে প্রতারণা করে সিম ব্যবহার করছে তিনিও চাইলে প্রতারণার অভিযোগে মামলা করতে পারেন।

[৯] সাজু বলেন, বিদেশি মাদক ও ইয়াবা উদ্ধার হলে পৃথক মামলা হতে পারে। ইয়াবার পরিমান ৪০০ গ্রামের বেশি হলে মৃত্যুদণ্ড পর্যন্ত শাস্তির বিধান রয়েছে। আর ২৫ গ্রামের বেশি ও ৪০০ গ্রামের নিচে হলে ১০ বছরের সাজা। কর্মস্থলে নিয়মিত কাজ না করে বেতন-ভাতা নেওয়ার ঘটনায় সরকারি চাকরি বিধি অনুযায়ী কর্তৃপক্ষ অর্থ ফেরতের ব্যবস্থা নিতে পারে বলেও জানান এই আইনজীবী। সম্পাদনা : রায়হান রাজীব

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়