শিরোনাম
◈ ভুটানের রাজার সঙ্গে থিম্পু পৌঁছেছেন তথ্য প্রতিমন্ত্রী ◈ চট্টগ্রামের জুতার কারখানার আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৭ জুলাই, ২০২০, ০৯:২২ সকাল
আপডেট : ১৭ জুলাই, ২০২০, ০৯:২২ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] মানিকগঞ্জে পদ্মা-যমুনার ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্ত ৬৮৮ টি পরিবার

সোহেল হোসাইন : [২] পদ্মা-যমুনার পানি বিপৎসীমার উপর দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। ফলে প্লাবিত হচ্ছে মানিকগঞ্জের নিন্মাচল। জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে পাঁচটি উপজেলার বাসিন্দারা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে বেশি। পদ্মা-যমুনা এবং ধলেশ্বরী নদীর ভাঙনে এরই মধ্যে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে জেলার ৬৮৮ টি পরিবারের প্রায় তিন হাজার ৯৬ জন বাসিন্দা।

[৩] জেলার দৌলতপুর, শিবালয়, হরিরামপুর, ঘিওর এবং সাটুরিয়া উপজেলার কয়েক হাজার বাসিন্দা ভাঙন আতঙ্কে দিনপার করছেন। এরই মধ্যে হরিরামপুর উপজেলা পরিষদ চত্তরে প্রবেশ করেছে পদ্মার পানি। ভাঙন আর বন্যায় সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্থ দৌলতপুর উপজেলার ৫ টি ইউনিয়নের কয়েক হাজার বাসিন্দা।

[৪] বন্যার পানি ডুবে গেছে অনেকের বাড়িঘর, তলিয়ে গেছে অনেক আঞ্চলিক রাস্তা-ঘাট । বন্যায় প্লাবিত এসব এলাকায় দেখা দিযেছে খাবার পানি ও শুকনা খাবারের সংকট। দৌলতপুর উপজেলার বাঁচামারা, বাঘুটিয়া, চরকাটারি, জিয়নপুর এবং খলসি ইউনিয়নে পানি বন্ধি হয়ে পড়েছে হাজারো পরিবার।

[৫] শুক্রবার দুপুরে সরেজমিনে শিবালয় উপজেলার আরিচা ঘাট এলাকার যমুনা নদী পানিতে টইটুম্বুর দেখা যায়। আরিচা লঞ্চঘাট এলাকাসহ আরিচা বাজারের কিছু অংশে প্রবেশ করেছে যমুনার পানি। উপজেলার দাসকান্দি ও এর আশেপাশের কয়েকটি গ্রামে পানিবন্দি রয়েছে কয়েক'শ পরিবার।

[৬] আরিচা গরুহাট এলাকার মুদি দোকানদার আব্দুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার ভোরে যমুনার পানি উঠে যায় তাদের থাকার ঘরে। বাধ্য হয়ে উকিল শশুরের বাড়িতে সাময়িকভাবে গরু-ছাগল নিয়ে আশ্রয় নিয়েছেন তিনি। তবে পানি বাড়তে থাকলে দিন কয়েক বাদে শশুর বাড়িতেও পানি উঠবে বলে জানান তিনি।

[৭] দৌলতপুর উপজেলার জিয়নপুর এলাকার স্কুল শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম বলেন, এলাকার রাস্তাঘাট তলিয়ে গেছে আরও কয়েক দিন আগেই। এখন পানি বাড়তে থাকায় ভাঙন কমেছে। এই এলাকার অধিকাংশ মানুষ দরিদ্র হওয়ায় শুকনা খাবার ও বিশুদ্ধ খাবার পানির অভাব রয়েছে বলে জানান তিনি।

[৮] মানিকগঞ্জের জেলা প্রশাসক এসএম ফেরদৌস আমাদের সময়.কম-কে বলেন, মানিকগঞ্জে ৬৮৮ টি পরিবারের ৩ হাজার ৯৬ জন ব্যক্তি পদ্মা-যমুনাসহ আঞ্চলিক নদী ভাঙনে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে। তবে ভাঙন ও বন্যায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য ১৩০ মেট্রিক টন চাল ও ১৩'শ প্যাকেট শুকনা খাবার প্রস্তুত রয়েছে। যা পর্যায়ক্রমে বিতরণ করা হচ্ছে। তবে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত বন্যায় কোন প্রাণহানি ঘটেনি বলে জানান জেলা প্রশাসক। সম্পাদনা: জেরিন আহমেদ

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়