সুজন কৈরী : [২] মোটা অঙ্কের টাকায় নারী ও শিশু পাচার চক্রের সঙ্গে চুক্তি হয় সাহেদের। এজন্য বোরকা পড়েন। সীমান্ত দিয়ে চলে যেতে চেয়েছিলেন পাশের দেশে। এর আগেও এভাবেই চারবার গিয়েছেন সাহেদ।
[৩] ৬ জুলাই উত্তরায় র্যাবের অভিযানের পরপরই আত্মগোপনে চলে যান সাহেদ। ওই রাতেই ঢাকা ছেড়ে ছুটে বেড়ান মহেশখালী, কুমিল্লার বিভিন্ন হোটেলে। আবার ঢাকায় এসেও বিভিন্ন হোটেলে আত্মগোপনে ছিলেন। কিন্তু আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের কারণে অবস্থা বেগতিক দেখে সাতক্ষীরার সীমান্ত দিয়ে পালিয়ে যেতে চেয়েছিলেন ভারতে।
[৪] বুধবার ভোরে সাতক্ষীরা এলাকা থেকে গ্রেপ্তারের পর র্যাব কর্মকর্তাদের প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে এমনটাই জানিয়েছেন সাহেদ।
[৫] র্যাবের লিগ্যাল এন্ড মিডিয়া শাখার পরিচালক লে. কর্নেল আশিক বিল্লাহ সাংবাদিকদের জানান, মোটা অঙ্কের বিনিময়ে মূলত নারী ও শিশুদের অবৈধভাবে পাচার করাই মূল উদ্দেশ্য থাকে পাচারকারীদের। এজন্যই সাহেদ ছদ্মবেশ ধারণ করতে বোরকা পড়েন সাহেদ।
[৬] সাহেদের কাছ থেকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে পাওয়া তথ্যের বরাত দিয়ে র্যাব কর্মকর্তা আশিক বিল্লাহ বলেন, সাহেদ পাওনাদারদের জাল টাকা দিতেন। ধরা পড়লে পাওানাদারদের মামলা করার জন্য বলতেন।
[৭] আদালতে সাহেদ নিজেকে করোনা রোগী দাবি করার বিষয়ে র্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক বলেন, গ্রেপ্তারের পর সাহেদের সঙ্গে কথা বলেছি। প্রাথমিকভাবে তার শারীরিক বিষয়ে খোঁজখবর নিয়েছি। তখন আমাদের কাছে আপাতদৃষ্টিতে করোনার কোনো লক্ষণ পরিলক্ষিত হয়নি।
আপনার মতামত লিখুন :