সুজন কৈরী : [২] মৃত পুলিশ সদস্যরা হলেন- মো. সিরাজুল ইসলাম ও ছোটন দেব। সিরাজুল ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) উত্তরা বিভাগে কনস্টেবল ও ছোটন কক্সবাজার জেলা পুলিশে কনস্টেবল হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
[৩] পুলিশ সদর দপ্তরের এক বিজ্ঞপ্তিতে বলো হয়, তারা কোভিডে সংক্রমিত হয়ে রাজারবাগ কেন্দ্রীয় পুলিশ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বৃহস্পতিবার ভোরে মারা যান।
[৪] ১৯৯৪ সালের ১০ জানুয়ারি বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করা সিরাজুল মৃত্যুকালে স্ত্রী, দুই পুত্র ও এক কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশালের চর্ক পাঁচপাড়া গ্রামে।
[৫] বাংলাদেশ পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ মরহুমের গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে জানাজা এবং অন্যান্য ধর্মীয় আনুষ্ঠানিকতা শেষে পারিবারিক কবরস্থানে মরদেহ দাফন করা হবে।
[৬] বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, ছোটন দেব ২০১১ সালের ১৪ আগস্ট বাংলাদেশ পুলিশে যোগদান করেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চৌদ্দ মাস বয়সী একমাত্র শিশু কন্যাসহ বহু আত্মীয়-স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। তার বাড়ি চট্টগ্রামের চন্দনাইশের বাতাজুড়ি গ্রামে। পুলিশের ব্যবস্থাপনায় মরদেহ গ্রামের বাড়িতে পাঠানো হয়েছে। সেখানে জেলা পুলিশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে ধর্মীয় রীতিতে মরদেহ সৎকার করা হবে।
[৭] উল্লেখ্য এ নিয়ে করোনাকালে জনগণকে সুরক্ষিত রাখতে গিয়ে ৫৩ জন বীর পুলিশ সদস্য জীবন উৎসর্গ করলেন।
আপনার মতামত লিখুন :