ওমর ফারুক : [২] ল্যাটিমার ১৯৬০ সালে ইস্টার সানডেতে এই বাগানের কাজ শুরু করেন। ১০ গ্যালন তরল রাখা যায় এমন একটি বোতল সংগ্রহ করে পাত্রটির মধ্যে কিছুটা মিশ্র জৈব সারের সঙ্গে ১/৮ গ্যালন পানি মেশান। এতে তারের সাহায্যে একটা স্পাইডারওয়ার্ট গাছের অঙ্কুর লাগান। এরপর তিনি বোতলের মুখ আটকে দেন। সময় টিভি
[৩] ১৯৭২ সালে অল্প পানি দেয়ার জন্য তিনি প্রথমবারের মতো ওই বোতলের মুখ খোলেন। সেই একবারই! এই ব্যতিক্রম ছাড়া বৃহম্পতিবার পর্যন্ত বোতলটি আর খোলা হয়নি। কিন্তু আশ্চর্যভাবে সেই অঙ্কুর থেকে বেড়ে বাগানে পরিণত হয়েছে এবং এত বছর ধরে দারুণ সতেজ আছে। শুধু মাত্র প্রচুর রোদ খাওয়াতে হয়েছে বাগানটিকে!
[৪]‘এটাকে জানালা হতে ৬ ফুট দূরে রাখা হয়, তাই পর্যাপ্ত আলো পায়। আলোর দিকে বাড়ার চেষ্টা করে এটি, তাই মাঝে মাঝে ঘুরিয়ে দেয়া হয়; যেন সবদিকে সুষমভাবে বৃদ্ধি পায়’।
[৫] ল্যাটিমার আরো জানান, ‘এটিকে আমি কখনোই ছাঁটাই করিনি, তাই এটি বোতলের ধারণক্ষমতা পর্যন্ত বৃদ্ধি পেয়েছে।’
[৬] বাগানটি একটি নিখুঁত স্বয়ংসম্পূর্ণ ইকোসিস্টেম। গাছটি নিজের অক্সিজেন নিজেই উৎপন্ন করে এবং মাটিস্থ হিউমাস থেকে পুষ্টি গ্রহণ করে। গাছের ঝরে যাওয়া পাতা ও অন্যান্য অংশ মাটিতে পড়ে ব্যাক্টেরিয়ার মাধ্যমে পুনরায় সরল উপাদানে পরিণত হয় এবং এর ফলে জৈব বস্তু ভেঙ্গে গিয়ে কার্বন-ডাইঅক্সাইডও বায়ুতে আসে। সম্পাদনা : খালিদ আহমেদ
আপনার মতামত লিখুন :