রিয়াজুর রহমান : [২] চট্টগ্রাম মহানগর ছাত্রদলের কমিটি গঠন ও কমিটিতে বিবাহিতদের রাখার দাবিতে মহানগর বিএনপির সভাপতি সম্পাদকসহ তিন নেতাকে দেড় ঘণ্টা অবরুদ্ধ করে রাখেন বিবাহিত ছাত্রদল নেতারা।
[৩] নগর বিএনপির সভাপতি ডা. শাহাদাত হোসেনসহ অবরুদ্ধ নেতারা হলেন নগর বিএনপির সাধারণ সম্পাদক আবুল হাশেম বক্কর, সিনিয়র সহ-সভাপতি আবু সুফিয়ান।
[৪] এছাড়া নগর ছাত্রদলের সভাপতি গাজী সিরাজ উল্লাহকেও অবরুদ্ধ করে রাখা হয়।
[৫] বুধবার (১৫ জুলাই) দুপুরে চট্টগ্রাম মহানগরের দলীয় কার্যালয় নাসিমন ভবনে বিএনপির এক অনুষ্ঠানে এসে ছাত্রদল নেতাদের হাতে অবরুদ্ধ হয়ে পড়েন এসব নেতারা।
[৬] এতে নেতৃত্ব দেন বিবাহিত ছাত্রদল নেতা আলিফ উদ্দিন রুবেল, আবু বক্কর সিদ্দিক,সোনা মানিক, এস এম রুম্মান ,জসিম উদ্দিন হিমেল,ইয়াকুব আলী সিফাত,শফিউল আলম,আরমান চৌধুরী,এন মোঃ রিমন, নাজমুল,রাশেদ,মামুন।
[৭] পরে ছাত্রনেতাদের বিবাহিত অবিবাহিতদের সমন্বয়ে কমিটি করা হবে এমন আশ্বাস দিয়ে মুক্তি পান বিএনপি নেতারা।
[৮] জানা যায়, চট্টগ্রাম মহানগর বিএনপির উদ্যোগে করোনা রোগীদের জন্য ফ্রি অক্সিজেন ও মেডিসিন সেবা কার্যক্রমের উদ্বোধন করার জন্য নগর বিএনপি ও ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা বুধবার সকালে নাসিমন ভবন দলীয় কার্যালয়ে আসেন।
[৯] অনুষ্ঠান শেষ করে বের হওয়ার সময় বিবাহিত ছাত্রনেতা ও অবিবাহিতদের সমন্বয়ে স্বল্প সময়ের কমিটির দাবিতে বিএনপি নেতাদের অবরুদ্ধ করে রাখেন বিবাহিত ছাত্রনেতারা।
[১০] এ বিষয় বিবাহিত ছাত্রদল নেতা আলিফ উদ্দিন রুবেল বলেন, নগর ছাত্রদলের কমিটিতে বিবাহিত - অবিবাহিত শর্তকে সামনে এনে ত্যাগী ছাত্রনেতাদেরকে বলি দেওয়ার পায়তারা চলছে । আমাদের দাবি অতি স্বল্প সময়ের জন্য হলেও নূন্যতম একটি স্বীকৃতির মাধ্যমে রাজপথের ত্যাগী নেতাদের মূল্যায়ন করে নগর ছাত্রদলকে সুন্দর কমিটি উপহার দেওয়া হােক ।
ডা. শাহাদাত হোসেন বলেন, কমিটিতে বিবাহিতদের রাখার দাবি নিয়ে তারা এসেছিলো। যারা ত্যাগ স্বীকার করেছে, কারা নির্যাতিত- তাদের কমিটিতে রাখার ব্যাপারে সুপারিশ করবো। আমি দেখেছি, অনেক বিবাহিত ছাত্রদল কর্মী আছেন যারা দলের জন্য কাজ করেছেন। দুঃসময়ে দলের পাশে ছিলেন। তাদের অবশ্যই মূল্যায়ন করা উচিত।
আপনার মতামত লিখুন :