বিশ্বজিৎ দত্ত : [২] দেশে সামাজিক নিরাপত্তার ত্রাণ বিতরণে ডিজিটাল পদ্ধতি রয়েছে। আবার স্থানীয় সরকারের মাধ্যমেও দরিদ্রদের খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হয়। কিন্তু স্থানীয় সরকার ও প্রশাসনের মাধ্যমে সংগ্রহ করা ডাটায় প্রচুর গরমিল রয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ৫০ লাখ পরিবারকে ২৫০০ টাকা সহায়তা পাঠানোর ডাটাতেও প্রায় ৫ লাখ ভুল তথ্য ছিল।
[৩] চাল ও গম বিতরণের বিষয়েও রয়েছে এমন অভিযোগ, শুধুমাত্র করোনার ত্রাণ বিতরণেই অনিয়মের অভিযোগে ২০০ স্থানীয় প্রতিনিধিকে বরখাস্ত করেছে প্রশাসন।
[৪] ইউনিয়ন পরিষদের একজন চেয়ারম্যান সঞ্জয় সরকার বলেন, জনপ্রতিনিধরা আসলে সিস্টেমের শিকার। যে চাল বিতরনের জন্য দেয়া হলো তার পরিবহণের খরচ কিন্তু দেয়া হলোনা। তিনি বলেন, যে চাল ওজন করে দেয় সে খালি বস্তাগুলো নিয়ে যায়। বাজারে এই বস্তা বিক্রি করলে সে চোর হয়ে যাবে।
[৫] অর্থনীতিবিদ ড. দেবপ্রিয় ভট্টাচার্য বলেন, এনজিওরা হলো পরিক্ষীত শক্তি। স্থানীয় সরকারের সঙ্গে তাদের যুক্ত করে ত্রাণ বিতরণ করলে যথার্থ মানুষের কাছে যাবে ত্রাণ।
[৬] অর্থনীতিবিদ আহসান এইচ মনসুর বলেন, জাতীয় পরিচয়পত্র স্থানীয় সরকারের ডাটা ও মোবাইল ফোনের ডাটা ব্যবহার করে যথার্থ মানুষের কাছে ত্রাণ পৌঁছবে না হলে ২৫ থেকে ৩০ শতাংশ ত্রাণ অপচয় হবেই।
আপনার মতামত লিখুন :