জেরিন আহমেদ: [২] আলজাজিরা জানায়, চলতি মাসের ২৪ তারিখ থেকে হায়া সোফিয়াতে নামাজ আদায় করতে পারবেন মুসল্লিরা। গত শুক্রবার তুরস্কের আদালত বিখ্যাত এই জাদুরঘরকে মসজিদ হিসেবে ঘোষণা দেয়। তবে নামাজের সময় মসজিদটির ভেতরে থাকা খ্রিষ্টীয় চিহ্ন বিশেষ একটি লেজারের মাধ্যম ঢেকে দেওয়া হবে বলে ক্ষমতাসীন এ কে পার্টির এক মুখপাত্র জানান।
[৩] ওমর সেলিক জানান, জাদুঘরের ভিতর বহু জায়গায় ঐতিহাসিক চিহ্ন রয়েছে। সেগুলোকে আপাতত নামাজের সময় ঢেকে রাখা হবে। এ কে পার্টির এই মুখপাত্র জানান, নামাজের সময় ছাড়া অন্যান্য সময় দর্শনার্থীদের জন্য হায়া সোফিয়া খোলা থাকবে, ঐতিহাসিক চিহ্নগুলো উন্মুক্ত থাকবে। দর্শনার্থীরা বিনা খরচে এটি পরিদর্শন করতে পারবে।
[৪] তবে পরবর্তী সময়ে খ্রিস্টীয় চিহ্নগুলো একেবারে মুছে ফেলা হবে কি না তা নিয়ে তিনি কিছুই বলেননি। ষষ্ঠ শতাব্দীতে বাইজান্টাইন সাম্রাজ্যের অধিপতি সম্রাট প্রথম জাস্টিনিয়ানের নির্দেশে আয়া সোফিয়া নির্মিত হয়। ওই সময় এটিই ছিল পৃথিবীর সবচেয়ে বড় গির্জা। এরপর ১৪৫৩ সালে ইস্তাম্বুল অটোম্যান সাম্রাজ্যের দখলে গেলে একে মসজিদে পরিণত করা হয়। ১৯৩৪ সালে মুস্তফা কামাল আতাতুর্ক স্বাক্ষরিত এক ডিক্রিতে মসজিদটিকে জাদুঘরে পরিণত করা হয়।
[৫] হায়া সোফিয়াকে মসজিদে রূপান্তরিত করলেও এর ভেতরে বহু জায়গায় খ্রিষ্টীয় চিহ্ন রয়েছে। জাদুঘর হিসাবে দর্শনীয় স্থান হয়ে উঠলেও সেই চিহ্নগুলোকে সরানো হয়নি। সূত্র: দ্য টাইমস, ডেইরি বিডি নিউজ
আপনার মতামত লিখুন :