শাহানুজ্জামান টিটু: [২] বীর সংগ্রামী শাজাহান সিরাজের মৃত্যুতে তাঁর সহযোদ্ধা স্বাধীন বাংলার পতাকা উত্তোলক আ স ম রব গভীর শোক প্রকাশ করে বলেন জাতিরাষ্ট্র বিনির্মাণের অন্যতম কারিগর, স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠক, স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের অন্যতম নেতা, মুক্তিসংগ্রামের বীর সিপাহসালার শাজাহান সিরাজ আমাদের জাতির অস্তিত্বের অংশ।
[৩] শাজাহান সিরাজের মৃত্যুতে আ স ম আবদুর রব শোকবাণীতে এ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেন।
[৪] রব বিবৃতিতে বলেন, শাজাহান সিরাজ ছাত্রলীগের রাজনীতিতে অসম সাহসিকতা ও সংগ্রামী হিসাবে ছাত্র-যুবসমাজকে সংগঠিত ও তাদের মাঝে স্বাধীনতার মন্ত্র ছড়িয়ে দেওয়ার ক্ষেত্রে যুগান্তকারী ভূমিকা রাখেন।
[৫] তিনি বলেন, ছাত্রলীগের রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হওয়ার সাথে তিনি সিরাজুল আলম খানের স্বাধীন বাংলা নিউক্লিয়াসের সাথে যুক্ত হন। ফলে সিরাজুল আলম খানের নির্দেশে জাতীয় পতাকা ও জাতীয় সংগীত নির্বাচনের পরিকল্পনায়ও শাজাহান সিরাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখেন।
[৬] রব বলেন, ১৯৭১ সালের ঐতিহাসিক ৩ মার্চ পল্টন ময়দানে স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদের এক বিশাল জনসভায় ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাজাহান সিরাজ স্বাধীনতার ইশতেহার পাঠ করেন। সেই ঐতিহাসিক সমাবেশে স্বাধীন সার্বভৌম বাংলাদেশের ঘোষণা ও কর্মসূচি প্রকাশ করা হয়। নিউক্লিয়াস প্রণীত ইশতেহার শাজাহান সিরাজ পাঠ করার মধ্য দিয়ে নিজেকে ইতিহাসের স্বর্ণোজ্জ্বল অধ্যায়ে সংযুক্ত করেন।
[৭] তিনি বলেন, স্বাধীনতার পর মুক্তিযুদ্ধের চেতনাভিত্তিক রাষ্ট্র বিনির্মাণের তাগিদে জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল গঠন ও সংগ্রাম আন্দোলনেও বিশাল ভূমিকা গ্রহণ করেন। যৌবনের বহু সোনালী দিন শাহজাহান সিরাজ দেশমাতৃকার জন্য কারাগারে কাটিয়েছেন।
[৮] শাহজাহান সিরাজ আমার আন্দোলন সংগ্রামের সাথী, আমার অনুভূতি আমার চেতনার অংশ। তাঁর মৃত্যু দেশের জন্য অপূরণীয় ক্ষতি। যতদিন আমাদের স্বাধীনতা, জাতির অস্তিত্ব, পতাকা ও জাতীয় সংগীত থাকবে ততদিন শাহজাহান সিরাজ বেঁচে থাকবেন সকল বাঙ্গালীর হৃদয়ে।
আপনার মতামত লিখুন :