রাশিদ রিয়াজ : [২] ব্রিটেনে কোভিডে বেকারত্ব আগামী বছর ৪০ লাখ ছাড়িয়ে যাবে। কয়েক বছর ধরে কর বৃদ্ধির পাশাপাশি ব্রিটেনকে ব্যয় হ্রাসে ২ ট্রিলিয়ন পাউন্ড খরচ করতে হবে। ১৯৮০ সালে মহামন্দার চেয়ে কোভিডে বেকারত্ব ১৩ শতাংশ বেশি। ডেইলি মেইল
[৩] আগামী ৫ বছরে কোভিড মন্দা কাটিয়ে উঠতে পারলেও অর্থনীতির আকার স্থির থাকবে ২০১৯ সালের মত। কর বৃদ্ধি ও খরচ হ্রাসের মধ্যে সমন্বয় সাধনকেই ব্রিটিশ অর্থনীতিবদিরা এই সময়ের উপযুক্ত কৌশল বলে বিবেচনা করছেন।
[৪] এছাড়া মূল্যস্ফীতি ও ব্রিটিশ সরকারের ঋণ কমিয়ে আনার অন্য কোনো পথ নেই। ২০২৫ সালের আগে ব্রিটেনের অর্থনীতি স্বাভাবিক হয়ে আসার কোনো সম্ভাবনা দেখছেন না অর্থনীতিবিদরা।
[৫] ৩’শ বছরের মধ্যে ব্রিটেনের জিডিপি এ বছর ১০ শতাংশ হ্রাস পাবে। জাতীয় ঋণ পুরো অর্থনীতির আকারের চেয়ে বড় হলেও আশাবাদী হওয়ার মত এখনো ব্রিটেনের অথনীতিতে অনেক কিছু আছে।
[৬] অফিস ফর বাজেট রেসপন্সিবিলিটির প্রধান রিচার্ড হাগস ব্রিটিশ রাজনীতিবিদদের দেশটির দেনার প্রকৃত মূল্য নির্ধারণের তাগিদ দিয়েছেন। তাহলে গত বছর ব্রিটিশ অর্থনীতির আকারকে ২০২৪ সালেই ফিরিয়ে আনা সম্ভব হয়ে যদিও তার পরের বছর পর্যন্ত দেশটিতে গরিবদের উপস্থিতি থাকবে ৬ শতাংশ। আগামী বছর প্রথম প্রান্তিকে বেকারত্ব থাকবে ১৩ শতাংশ।
[৭] গত মে মাসে ব্রিটেনের জিডিপি ১.৮ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ বছর ব্রিটেনের সরকার রাজস্ব আদায় হ্রাস ও বিশেষ সহায়তা দেয়ার জন্যে ৩২২ বিলিয়ন পাউন্ড ধার করবে যার বাইরে অতিরিক্ত ৩০ বিলিয়ন পাউন্ড খরচের ঘোষণাও রয়েছে।
[৮] কোভিডের কারণে রাজস্ব আদায়ে ঘাটতি ব্যাপক হয়ে দাঁড়িয়েছে। অর্থনীতিকে টেকসই রাখান জন্যে অর্থনীতিবিদরা সাশ্রয়মূলক নীতি গ্রহণের তাগিদ দিচ্ছেন।