শিরোনাম
◈ ঝালকাঠিতে ট্রাকচাপায় নিহতদের ৬ জন একই পরিবারের ◈ গাজীপুরের টঙ্গি বাজারে আলুর গুদামে আগুন ◈ রাজনৈতিক বিশ্লেষক মনোয়ারুল হক মারা গেছেন ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব শনিবার ঢাকা আসছেন ◈ দুই এক পশলা বৃষ্টি হলেও তাপদাহ আরো তীব্র হতে পারে  ◈ এথেন্স সম্মেলন: দায়িত্বশীল ও টেকসই সমুদ্র ব্যবস্থাপনায় সম্মিলিত প্রয়াসের আহ্বান পররাষ্ট্রমন্ত্রীর ◈ কেএনএফ চাইলে আবারও আলোচনায় বসার সুযোগ দেওয়া হবে: র‌্যাবের ডিজি ◈ ওবায়দুল কাদেরের হৃদয় দুর্বল, তাই বেশি অবান্তর কথা বলেন: রিজভী ◈ মধ্যপ্রাচ্যের পরিস্থিতি বিবেচনায় প্রস্তুতি নেওয়ার নির্দেশ দিলেন প্রধানমন্ত্রী ◈ বাংলাদেশ সংকট থেকে ঘুরে দাঁড়াতে শুরু করেছে: অর্থমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৪ জুলাই, ২০২০, ১১:৩০ দুপুর
আপডেট : ১৪ জুলাই, ২০২০, ১১:৩০ দুপুর

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

সাহিত্যে কোভিড-১৯, লকডাউনের সাহিত্য

ইমরুল শাহেদ : করোনাভাইরাস মহামারীতে লকডাউনের কারণে আতংক, একাকিত্ব এবং অনিশ্চয়তা নিয়ে ঘরবন্দি প্রজন্মের আগামী জীবনধারায় কেমন পরিণতি আসতে পারে, তার ওপর ভিত্তি করেই রচিত হচ্ছে বিভিন্ন ধরনের লকডাউন সাহিত্য।

সাহিত্যিক সিদ্ধার্থ গিগো ভারতের মৌসুমী শ্রমিকদের নিয়ে লিখেছেন ‘লাভ ইন টাইম অব কোয়ারেন্টাইন’। ছোট আকারের গল্প হলেও তাতে স্থান পেয়েছে গল্পের দুটি ধারা। একটি ধারায় রয়েছে হঠাৎ লকডাউন আরোপ হওয়ায় দু’জন প্রেমিক-প্রেমিকা বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়ে। আরেকটি হলো মৌসুমী শ্রমিকের একটি পরিবার পথেই আটকা পড়ে, যাদের কোথাও যাওয়ার জায়গা নেই। গত এপ্রিলে এ বইটি আমাজন কিন্ডল বাজারে আনে। খুব কম সময়ের মধ্যে বইটির দেড় হাজার কপি ডাউনলোড হয়। গিগো বলেন, ‘লকডাউনের তৃতীয় বা চতুর্থ দিনে আমি আটকে পড়া এই পরিবারটিকে দেখি। পিতামাতা, দুটি শিশু এবং একটি কুকুর নিয়ে পরিবারটি মহামারীর এই সময়ে রাস্তা দিয়ে হাঁটছে। তাদের দুর্ভোগ দেখে আমি মর্মাহত হই। ৩০ বছর আগের আমার শৈশবে চলে যাই আমি। তখন আমি সন্ত্রাসের কারণে একা হেঁটে কাশ্মীর ছেড়ে জম্মুতে আশ্রয় নিয়েছি। আমি জানতাম না কোথায় আমি খাব, কোথায় আমি ঘুমাবো ইত্যাদি। এজন্য পরিবারটির দুর্ভোগের সঙ্গে আমি আবেগতাড়িত হয়ে একাত্ম হয়ে যাই।’

গত সপ্তাহে লেখিকা শোভা দে ‘লকডাউন লিয়াঁজো’ নামে একটি ই-বুক প্রকাশ করেছেন। এতে স্থান পেয়েছে ১০টি গল্প। প্রতিটি গল্পেই তুলে আনা হয়েছে জীবন সংগ্রামে নিয়োজিত এই সময়টাতে মানুষের উপলব্ধির চিত্রকল্প। শোভা দে বলেন, মুম্বাই ছাড়তে চাইছে না এমন একজন মৌসুমী শ্রমিকের কথা স্থান পেয়েছে গল্পে এবং ঋণের দায়ে জর্জরিত একজন নারী এবং গৃহকর্মীর কথাও তুলে আনা হয়েছে। মহামারীর প্রতি তাদের আত্মিক প্রতিক্রিয়াও চিত্রিত হয়েছে গল্পের পরতে পরতে।

শোভা দে এই বইটি লিখতে শুরু করেন লকডাউনের এক সপ্তাহের মধ্যেই। তিনি বলেন, ‘একজন গল্পকার হিসেবে আমি প্রথমেই আত্মানুসন্ধানে লিপ্ত হই - শুনি এবং পর্যবেক্ষণ করি। আমার প্রাথমিক অন্তর্লীনতা ক্রমশ চারদিকে ছড়িয়ে পড়তে থাকে। আমরা বইটিকে কেবল মহামারীর সকলের সমবেত সংবেদনশীল প্রতিক্রিয়া বলতে পারি, যা আমাদের সকলের হৃদয়ের কথা।’

স্পিকিং টাইগার প্রকাশনীর ভাইস প্রেসিডেন্ট রেনুকা চ্যাটার্জি বলেছেন, কোভিড-১৯ মহামারী লেখকদের অনুপ্রাণিত করছে। তিনি বলেন, ১৯৪৭ সালে দেশভাগ হওয়ার যেমন বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বইয়ের বন্যা হয়ে গেছে, ঠিক সেরকম। ভাইরাস, তার চলে যাওয়ার পর কি হবে, তা নিয়ে গল্প, প্রবন্ধ এবং কবিতা দীর্ঘ সময় ধরে লেখা হতে থাকবে। মহামারী অবশ্য আমাদেরকে নৈতিকতা ও মৃত্যুর মুখোমুখি এনে দাঁড় করিয়েছে। এই প্রকাশনা থেকে গায়ত্রী গিলের লেখা ‘দি ডে বিফোর টুডে : লকডাউন স্টোরিজ’ নামে ই-বুকটি প্রকাশিত হয়েছে। টাইমস অব ইন্ডিয়া

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়