শিরোনাম
◈ চট্টগ্রামে জুতার কারখানায় আগুন, নিয়ন্ত্রণে ১২ ইউনিট ◈ জিয়াও কখনো স্বাধীনতার ঘোষক দাবি করেনি, বিএনপি নেতারা যেভাবে করছে: ড. হাছান মাহমুদ ◈ আওয়ামী লীগ সবচেয়ে বড় ভারতীয় পণ্য: গয়েশ্বর ◈ সন্ত্রাসীদের ওপর ভর করে দেশ চালাচ্ছে সরকার: রিজভী ◈ ইফতার পার্টিতে আওয়ামী লীগের চরিত্রহনন করছে বিএনপি: কাদের ◈ বাংলাদেশে কারাবন্দী পোশাক শ্রমিকদের মুক্তির আহ্বান যুক্তরাষ্ট্রের ফ্যাশন লবি’র ◈ দক্ষিণ আফ্রিকায় সেতু থেকে তীর্থ যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত ৪৫ ◈ ২২ এপ্রিল ঢাকায় আসছেন কাতারের আমির, ১০ চুক্তির সম্ভাবনা ◈ ইর্ন্টান চিকিৎসকদের দাবি নিয়ে প্রধানমন্ত্রী’র সঙ্গে কথা বলেছি: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ উন্নয়ন সহযোগীদের একক প্ল্যাটফর্মে আসা প্রয়োজন: পরিবেশমন্ত্রী

প্রকাশিত : ১৪ জুলাই, ২০২০, ০৯:২০ সকাল
আপডেট : ১৪ জুলাই, ২০২০, ০৯:২০ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] বগুড়ার নন্দীগ্রামে পঞ্চম শ্রেণীর ছাত্রী ধর্ষণকারী হাফেজ গ্রেপ্তার

জিল্লুর রয়েল: [২] ১১ জুলাই দিবাগত রাত আনুমানিক সাড়ে ১২ টায় নওগাঁ জেলার হাপুনিয়া দিঘীরপাড়া থেকে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। থানার অফিসার ইনচার্জ শওকত কবিরের নির্দেশনায় এসআই ফারুক হোসেন পিপিএম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে তাকে গ্রেপ্তার করে। হাফেজ রুহুল কুদ্দুস সেখানে তার এক আত্মীয় বাড়িতে পালিয়ে ছিল। গ্রেপ্তারের পর সে তার কুকর্মের কথা পুলিশের কাছে স্বীকার করেছে। ১২ জুলাই দুপুরে থানা পুলিশ তাকে কোর্ট হাজতে প্রেরণ করে।

[৩] সূত্রে জানা গেছে, দারিয়াপুর গ্রামের আব্দুল হালিম সুজনের ১১ বছর বয়সি মেয়ে দারিয়াপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে পঞ্চম শ্রেণীতে লেখাপড়া করতো। বিদ্যালয়ে যাওয়ার আগে প্রতিদিন সকালে এলাকার অন্য শিশুদের সঙ্গে সেও গ্রামের হাফেজ রুহুল কুদ্দুস (৫৫) এর বাড়িতে আরবি পড়তে যায়। এমতাবস্থায় একদিন হাফেজের বাড়িতে পরিবারের লোকজন কেউ ছিল না। পড়া শেষে সবাইকে ছুটি দিলেও ওই ছাত্রীকে পড়া ধরবেন বলে হাফেজ রুহুল কুদ্দুস তাকে বসতে বলে। অন্য ছাত্রীরা চলে যাওয়ার পর লম্পট হাফেজ তাকে ধর্ষণ করে। মেয়েটি চিৎকার করতে থাকলে তার মুখে কাপড় চাপা দিয়ে তাকে ধর্ষণ করে লম্পট হাফেজ রুহুল কুদ্দুস।

[৪] এক পর্যায়ে ধর্ষণের কথা কারো কাছে বললে তাকে মেরে ফেলা হবে বলে ওই হাফেজ হুমকি দেয়। এই ভয়ে ওই ছাত্রী পরিবারের কাউকে কিছুই জানায়নি। স¤প্রতি ওই ছাত্রী অসুস্থ হয়ে পড়লে তার বাবা-মা ডাক্তারের কাছে নিয়ে যায়। গত ৪ জুলাই নন্দীগ্রাম হেলথ কেয়ার ক্লিনিক এন্ড ডায়াগনিষ্টিকে আল্ট্রাসনোগ্রাফি করা হয়। তার রিপোর্টে ওই ছাত্রীর তিন মাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে উল্লেখ করা হয়।

[৫] এদিকে ঘটনাটি জানাজানি হলে এলাকায় ব্যাপক তোলপাড় ও ক্ষোভের সঞ্চার হয়। দোষী ব্যক্তির দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবিতে উত্তাল হয়ে উঠে পুরো এলাকা। একপর্যায়ে গত ৮ জুলাই গ্রামের মাতব্বর এনামুল হক, এসরাক আলীর নেতৃত্বে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে ঘটনাটি ধাপাচাপা দেয়ার চেষ্টা চালায়। তবে তার বাবা আব্দুল হালিম সুজন রাজি হয়নি।

[৬] পরে গত ১০ জুলাই এ ঘটনায় নন্দীগ্রাম থানায় নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে একটি মামলা দায়ের করে। মামলাটি থানার এসআই ফারুক হোসেন পিপিএম তদন্ত করছে। তিনি বলেছে, যথারীতিভাবে মামলাটি তদন্ত করা হচ্ছে। মামলার ভিকটিম ম্যাজিস্ট্রেটের নিকট ধর্ষণ ঘটনার জবানবন্দী দিয়েছে। আসামি রুহুল কুদ্দুস তার অপরাধের কথাও স্বীকার করেছে। সম্পাদনা: সাদেক আলী

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়