শাহ জালাল : [২] নারায়ণগঞ্জের সোনারগাঁ উপজেলার বারদী ইউনিয়নের শান্তির বাজার এলাকায় ডাকাত সর্দার হাবিবুর রহমান হাবু ও তার ছেলে আশিকসহ একটি সন্ত্রাসী বাহিনী বারদি ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আমিনুল ইসলামকে কুপিয়ে হত্যা চেষ্টা চালিয়েছে।

[৩] রোববার (১২ জুলাই) দুপুরে শান্তির বাজার এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। আহত যুবলীগ নেতাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে।

[৪] পুলিশ ও এলাকাবাসী সূত্রে জানা যায়, উপজেলার শান্তিরবাজার এলাকায় একটি জমি নিয়ে ডাকাত সর্দার হাবিবুর রহমান হাবু, ফারুক মেম্বার, সানু মেম্বার, আমজাদ হোসেন ও সানাউল্লাহ সিন্ডিকেট ও আব্দুল মতিনের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। এ নিয়ে শনিবার সকালে থানায় একটি বিচার শালিস বসে। শালিসে উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেনসহ ওই এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। শালিসী বৈঠকে আব্দুল মতিনের পক্ষে সকল কাগজপত্র সঠিক পায় সালিশকারীরা। পরে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সরেজমিনে তদন্ত করে বিচারের রায় দেবেন বলে বৈঠকে জানানো হয়।

[৫] রোববার বেলা ১১ টার দিকে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন সরেজমিনে ওই জমির দেখতে যান। ওই জমির মালিক আব্দুল মতিনের পক্ষে যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলাম কথা বলার কারনে উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মোশারফ হোসেন জমির স্থান ত্যাগ করার পর যুবলীগ নেতা আমিনুল ইসলামকে একা পেয়ে ডাকাত সর্দার হাবু ও তার ছেলে আশিক সহযোগী ডালিমসহ ১০-১২ জনের একটি দল দেশীয় অস্ত্র রামদা, ছোরা, চাপাতি, চাইনিজ কোড়াল ও লোহার রড দিয়ে কুপিয়ে ও পিটিয়ে হত্যার চেষ্টা চালায়। ঘটনাস্থল থেকে এলাকাবাসী মারাত্মক আহত অবস্থায় আমিনুলকে উদ্ধার করে সোনারগাঁও উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পর তার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে।

[৬] সোনারগাঁ থানার ওসি মনিরুজ্জামান বলেন, এ ঘটনায় মামলার প্রস্তুতি চলছে। ডাকাত সর্দার হাবুকে গ্রেফতারের জন্য অভিযান চলছে। সম্পাদনা : হ্যাপি