জেরিন আহমেদ: [২] চট্টগ্রাম উপকূলীয় অঞ্চলের কয়েকটি সিন্ডিকেট ২০ বছর ধরে মাছ ধরার জন্য নদী ও সাগর বিক্রি করে বনে গেছেন কোটিপতি। জলদস্যুদের সহযোগী এই সিন্ডিকেট ট্রলার মালিক ও জেলেদের জিম্মি করে সমুদ্র উপকূলে চালাচ্ছে চাঁদাবাজি। সময় নিউজ, ডিবিসি নিউজ
[৩] নদী বা সাগরে মাছ ধরতে গেলে আগাম চাঁদা দেয়া এখন রীতিতে পরিণত হয়েছে। চাঁদা দিতে অস্বীকৃতি জানালে ট্রলার মালিক-জেলেদের জাল, মাছ লুটে নিয়ে উল্টো মামলা দেয়া হয়- রয়েছে এমন অভিযোগ।
[৪] চট্টগ্রামে এই সিন্ডিকেটের প্রধান ইলিয়াস সওদাগার। স্থলভাগের জমির মতো সাগরেও মাছ ধরার জন্য নির্দিষ্ট স্থান বিক্রি হয় তার নেতৃত্বে। তার অনুমতি ছাড়া কেউ সাগরে যেতে পারে না বলে জানান ট্রলার মালিক ও জেলেরা।
[৫] অভিযুক্ত সিন্ডিকেট প্রধান মোহাম্মদ ইলিয়াস সওদাগার জানান, দীর্ঘ সময় ধরে তারা এ ব্যবসার সাথে জড়িত। তিনি বলেন, "এই ব্যবস্থা আমরা যুগ যুগ ধরে করে আসছি। এখনো আছে এই ব্যবসাটা। তবে চাঁদা নেয়ার যে অভিযোগ করা হয়েছে তা মথ্যা।"
[৬] তবে সাগর বিক্রির বিষয়ে কিছুই জানেন না সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তরের কর্মকর্তারা। অভিযোগ পেলে ব্যবস্থা নেয়ার কথা জানান তারা।
[৭] সামুদ্রিক মৎস্য অধিদপ্তর চট্টগ্রামের সহকারী পরিচালক মোহাম্মদ নাজিম উদ্দিন বলেন, "এটি আমাদের কাছে একেবেই নতুন একটা অভিযোগ। এটা আমাদের জানা নেই। কেউ এ ধরনের অভিযোগ করেনি। কেউ অভিযোগ করলে আমরা ব্যবস্থা নেব।" এদিকে, জলদস্যু বাহিনী ও তাদের সহযোগীদের চাঁদাবাজির কবলে পড়ে দিশেহারা এখন অনেক মৎস্যজীবি।
আপনার মতামত লিখুন :