সিরাজুল ইসলাম: [৩] জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) এ তথ্য জানিয়েছে। যুদ্ধবিধ্বস্ত দেশটিতে সব চেয়ে বড় মানবিক সঙ্কট তৈরি হয়েছে বলে মনে করছে সংস্থাটি। আলজাজিরা
[৪] দেশটির ২০ মিলিয়ন মানুষ খাদ্য অনিশ্চয়তায় রয়েছে। তাদের ১৩ মিলিয়ন মানবিক সহায়তার খাদ্য পাচ্ছে। তীব্র অপুষ্টির শিকার দুই মিলিয়ন শিশু ও এক মিলিয়ন গর্ভবর্তী নারী কিংবা মাতৃদুগ্ধ দানকারীর চিকিৎসা প্রয়োজন।
[৫] ডব্লিউএফপির মুখপাত্র এলিজাবেথ বাইরস বলেন, আশঙ্কাজনকভাবে পরিস্থিতির অবনতি হচ্ছে। এখনই ব্যবস্থা নিতে হবে। দুর্ভিক্ষের লক্ষণ দেখা গেছে। দুর্ভিক্ষ ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করলে অনেক দেরি হয়ে যাবে। এরই মধ্যে দেরি হয়ে গেছে।
[৬] বাইরস বলেন, ইয়েন বহুমুখী সমস্যায় ভুগছে। আমদানি কমে গেছে। খাদ্যের দাম বাড়ছে। রিয়ালের দরপতন হয়েছে। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ প্রায় শূন্য।
[৭] ইয়েমেনে হুতি বিদ্রোহী ও সরকার সমর্থক বাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ চলছে। হুতি বাহিনী ২০১৪ সালের শেষ দিকে রাজধানী সানার একটি অংশের নিয়ন্ত্রণ নেয়। ২০১৫ সালের মার্চে বিদ্রোহীদের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু করে সৌদি আরব নেতৃত্বাধীন সামরিক জোট।
[৮] ত্রিপক্ষীয় যুদ্ধে প্রাণ গেছে লাখো মানুষের। বাস্তুচ্যুত হয়েছে ৪ মিলিয়ন মানুষ। দেশটির ২৯ মিলিয়ন মানুষের ৮০ শতাংশই মানবিক সহায়তার ওপর নির্ভরশীল। দেশটিতে নভেল করোনাভাইরাসও হানা দিয়েছে।