লাইজুল ইসলাম : [২] ইতোমধ্যে দেশের ৯৬ এলাকা বন্যার পানিতে ডুবে গেছে। এই অবস্থায় অসহায় হয়ে পরেছে প্রান্তিক মানুষ। এখন প্রান্তিক জনগণও কোভিড-১৯ উপসর্গে ভুগছে। গেলো কয়েকমাসের তুলনায় গত কয়েকসপ্তাহ দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে কোভিড ছড়িয়ে পরার কথাও জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর।
[৩] এই অবস্থায় বন্যা আসলে কতটা ঝুঁকির? এই প্রশ্নের উত্তরে রোগতত্ব, রোগ নিয়ন্ত্রণ ও গবেষণা ইন্সটিটিউটের সাবেক বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. মুশতাক হোসাইন বলেন, দুই ভাগে ভাগ করা যায় সংক্রমণের বিষয়টিকে। বন্যার কারণে মানুষ গুচ্ছ গুচ্ছ হয়ে বসবাস শুরু করবে। এতে সংক্রমণ বৃদ্ধি পাওয়ার সুযোগ খুবই কম। এতে করে আরো কমার সুযোগ বেশি।
[৪] তবে আরেকটি ভাগ খুবই চিন্তার। যখন গুচ্ছ গুচ্ছ ভাগে নিজ বাড়িতে থাকতে পারবে না তখন সবাই চলে আসবে বেড়ি বাঁধে বা আশ্রয় কেন্দ্রে। তখন অবস্থাটা ভয়ানক হয়ে দাড়াবে।
[৫] ডা. মুশতাক হোসাইন বলেন, আমরা একটা স্বাস্থ্য বিধি করেছি এই সব স্থানের জন্য। কিন্তু বেড়ি বাঁধে বা আশ্রয় কেন্দ্রে মানুষ হাত ধোঁয়ার সাবান পানি কোথায় পাবে। তখন তো খাবার খেয়ে জীবন বাঁচানোই কঠিন হয়ে পরবে।
[৬] আরো একটি সমস্যা দাড়াবে অধিদপ্তরের সামনে। এই সময়টায় নমুনা সংগ্রহ কমে আসবে। বন্যা কবলিত এলাকায় এটাক একটি ভয়াবহ বিপর্যয়ের আশঙ্কা তৈরি করবে। এ থেকে বাঁচার উপায় খুঁজছি আমরা।
আপনার মতামত লিখুন :