সুজন কৈরী : [২] রোববার রাতে র্যাব-১০ এর উপ-অধিনায়ক মেজর শাহরিয়ার জিয়াউর রহমানের নেতৃত্বে একটি দল অভিযান চালিয়ে দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জের হাসনাবাদ এলাকা থেকে আবুল বাশার মোল্লাকে গ্রেপ্তার করে। লঞ্চ ডুবির ঘটনায় দায়ের হওয়া মামলার ২ নম্বর এজাহারভ‚ক্ত আসামি বাশার। তার বাড়ি মাগুরার মোহম্মদপুরের মন্ডলগাতির কলাগাছি গ্রামে।
[৩] সোমবার দুপুরে কারওয়ান বাজারে র্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত সংবাদ সম্মেলেনে র্যাব-১০-এর অধিনায়ক অতিরিক্ত ডিআইজি মো. কাইয়ুমুজ্জামান খান বলেন, ঘটনার পর আবুল বাশার আত্মগোপনে চলে যান। ঘনঘন স্থান পরিবর্তন করছিলেন। লঞ্চডুবির দিনই মাগুরায় নিজ গ্রামে চলে যান এবং পাশের গ্রামের একজনের বাড়িতে রাত কাটান। পরদিন ফরিদপুরে আলফাডাঙ্গা গিয়ে দুইদিন অবস্থান করে ফরিদপুরের বোয়ালমারীর আখালিপাড়ায় ভায়রার বাড়িতে অবস্থান করেন। সেখান থেকে ঢাকার দিকে আসার সময় অবস্থান নিশ্চিত হয়ে আবুল বাশারকে গ্রেপ্তার করা হয়।
[৪] গ্রেপ্তার আবুল বাশারকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জ থানায় হস্থান্তরের কথা জানিয়েছেন র্যাব-১০-এর অধিনায়ক।
[৫] ২৯ জুন সকালে ফরাশগঞ্জ ঘাট সংলগ্ন বুড়িগঙ্গা নদীতে ময়ূর-২ এর একটি লঞ্চের ধাক্কায় মর্নিং বার্ড নামের লঞ্চ ডুবে যায়। এ ঘটনায় ৩৪ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়। মর্নিং বার্ড লঞ্চটি মুন্সীগঞ্জ থেকে যাত্রী নিয়ে সদরঘাট আসছিল। লঞ্চডুবির ঘটনায় ৩০ জুন দক্ষিণ কেরাণীগঞ্জ থানায় মামলা করে নৌ পুলিশ।