শিরোনাম
◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন ◈ ইরানের ইস্পাহান ও তাব্রিজে ইসরায়েলের ড্রোন হামলা, ৩টি ভূপাতিত (ভিডিও) ◈ ভেটোর তীব্র নিন্দা,মার্কিন নীতি আন্তর্জাতিক আইনের নির্লজ্জ লংঘন : ফিলিস্তিন ◈ স্কুল পর্যায়ের শিক্ষার্থীদের গল্প-প্রবন্ধ নিয়ে সাময়িকী প্রকাশনা করবে বাংলা একাডেমি ◈ দক্ষিণ ভারতে ইন্ডিয়া জোটের কাছে গো-হারা হারবে বিজেপি: রেভান্ত রেড্ডি ◈ আবারও বাড়লো স্বর্ণের দাম  ◈ ভারতের পররাষ্ট্র সচিব বিনয় মোহন কোয়াত্রার ঢাকা সফর স্থগিত ◈ চিকিৎসকদের সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সংসদে আইন পাশ করব: স্বাস্থ্যমন্ত্রী ◈ বিএনপি নেতাকর্মীদের জামিন না দেওয়াকে কর্মসূচিতে পরিণত করেছে সরকার: মির্জা ফখরুল ◈ ব্রিটিশ হাইকমিশনারের সঙ্গে বিএনপি নেতাদের বৈঠক

প্রকাশিত : ১৩ জুলাই, ২০২০, ০৩:৩৪ রাত
আপডেট : ১৩ জুলাই, ২০২০, ০৩:৩৪ রাত

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] অন্তরে আল্লাহর ভয় ও ভালবাসা নিয়ে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা হল ‘তাকওয়া’

ইসমাঈল আযহার: [২] আল্লাহর সামনে একদিন দাঁড়াতে হবে এবং সব কর্মকাণ্ডের হিসাব দিতে হবে- এই ভয়ে গুনাহ থেকে বেঁচে থাকা এবং আল্লাহর হুকুম মোতাবেক জীবনকে পরিচালিত করা। শুধু ভয় করার নাম তাকওয়া নয়। ভয়ের সাথে সাথে ভয়ের আছারাত ও ফলাফলও জীবনে প্রকাশ পেতে হবে।

[৩] আল্লাহ তাআলা প্রথমে তাকওয়া অর্জনের কথা বলেছেন। তারপর বলেছেন, প্রত্যেক মানুষ যেন অবশ্যই ভেবে দেখে আগামীকালের জন্যে সে কী জমা করেছে। এই দুনিয়ার জীবনটা হল আজকের দিন। আর আগামীকাল হল, মৃত্যুর পর। কিয়ামতের ভয়াবহতা এত বেশী হবে যে, দুনিয়ার জীবনটাকে মনে হবে এক সকাল বা এক বিকাল, বা তার চেয়েও কম।

[৪] দুনিয়ার জীবন হল আযান ও ইকামতের পর নামায শুরু হতে যে সময়টুকু তার সমান। দেখ, জন্মের পরপরই তো তোমার জীবনের আযান-একামত হয়ে গেল। এখন নামাজ হওয়া বাকী। সেই নামাজ হবে তোমার মৃত্যুর পর। এই আযান ও নামাজের মাঝের সময়টুকু তোমার জীবন।

[৫] এই আয়াতে বলা হয়েছে, আখেরাতের জীবনের জন্যে কী পাঠিয়েছি তা যেন চিন্তা করি। একে ‘মুহাসাবা’ বলে। ইসলাম বিভিন্ন আমল ফরয করেছে। ইসলামের একটি গুরুত্বপূর্ণ ফরয কাজ হল, এই ‘মুহাসাবা’। আমার কী করা দরকার ছিল, আমি কী করেছি? আমার কী করার কথা ছিল না, কিন্তু কতটুকু বেঁচে থেকেছি? নিজের কাছ থেকে নিজে এই হিসাব নেওয়া।

[৬] যদি নেক কাজ করে থাকি তাহলে আল্লাহর শোকর আদায় করা। আর যদি গুনাহের কাজ হয়ে থাকে তাহলে ইস্তেগফার করা। গুনাহের কাজ থেকে যত দ্রুত সম্ভব বের হয়ে আসার চেষ্টা করা। যদি অনেক গুনাহের কাজ হয় এবং সবগুলো একসাথে পরিত্যাগ করা সম্ভব না হয় তাহলে কিছু কিছু করে পর্যায়ক্রমে গুনাহের কাজ থেকে বেরিয়ে আসা। এভাবে ঈমানী হালত এবং আমলী হালতের খোঁজ-খবর নেওয়া। এই খোঁজ-খবর নেওয়াটা ফরজ।

[৭] ঈমানী হালত এবং আমলী হালতের খোঁজ-খবর না নেওয়া অনেক বড় গুনাহ। এটা হল নিজের অবস্থার খোঁজ-খবর নেওয়া। যদি আত্মীয়-স্বজনের খোঁজ-খবর নেওয়া ফরয হয়ে থাকে তাহলে নিজের খোঁজ-খবর নেওয়া তো আরো বড় ফরয।

[৮] আমাদের কাছে নেক কাজের কোনো আকৃতি নেই। নামায, রোযা, হজ্ব যাকাত ইত্যাদি কোনো নেক কাজেরই কোনো আকৃতি আমাদের সামনে নেই। কিন্তু আল্লাহর কাছে প্রতিটি নেক কাজেরই একটি আকৃতি আছে। কিয়ামতের ময়দানে মানুষ সে আকৃতিসহ তাদের কৃতকর্মগুলো দেখতে পাবে। ছোট বড় সবকিছুই দেখতে পাবে। আল্লাহ তাআলা আমল করার তাওফীক দান করুন।

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়