ভূঁইয়া আশিক : [২] বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যত্রতত্র কোরবানির হাট বসানো যাবে না। হাটে কমপক্ষে ৬ ফিট ব্যবধানে পশু রাখতে হবে। না হলে নতুন করে সংক্রমণের ঢেউ দেশব্যাপী ছড়িয়ে পড়ার আশঙ্কা রয়েছে। জাতীয় টেকনিক্যাল কমিটিও বলছে, অধিক সংক্রমণ এলাকায় কোরবানির হাট বসানো যাবে না। ডিজিটাল বা অনলাইনে গরু কেনা-বেচার প্রতি জোর দিয়েছেন তারা।
[৩] প্রধানমন্ত্রীর চিকিৎসক ডা. এবিএম আবদুল্লাহ বলেন, সামনে কঠিন সময় অপেক্ষা করছে। কোরবানির পশু অনলাইনে বেচা-কেনা উত্তম পন্থা। এতে সংক্রমণ ঝুঁকি কম থাকবে। যদি নেহায়েতই হাট বসাতে হয়, তাহলে খোলা মাঠ ব্যবহার করতে হবে।
[৪] হাট ইজারাদার, বিক্রেতা ও ক্রেতারা অবশ্যই গ্লাভস, গাউন পরবেন। রোগা গরু বা পশু হাটে আনা যাবে না। একসঙ্গে অনেকে গরু কিনতে যাওয়া থেকে বিরত থাকবেন।
[৫] প্রিভেন্টিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. লেলিন চৌধুরী বলেন, গরুর হাট বসালে সংক্রমণের বিস্ফোরণ ঘটার আশঙ্কা প্রবল। কারণ গরু যেভাবে কেনাবেচা করা হয়, মানুষের শারীরিক দূরত্ব বজায় রাখা সম্ভব নয়। হাটে এক’দুজন রোগী থাকলেও বহু মানুষ আক্রান্ত হতে পারে।
[৬] এতে এতোদিন কষ্ট করে যে জায়গায় আসার চেষ্টা করছি, একদিনের গরুর হাটে সব অর্জন ম্লান হয়ে যাবে।
[৭] অনলাইন, প্রাইভেট কোম্পানি কিংবা সরকারের পুলিশ, সেনাবাহিনী দিয়ে কাজটি করানো গেলে কোরবানির ঈদে সংক্রমণ ঝুঁকি কমানো যেতো বলে তিনি মনে করেন। সম্পাদনা: সালেহ্ বিপ্লব