শিরোনাম
◈ ২০২৫ সালের মধ্যে ৪৮টি কূপ খনন শেষ করতে চায় পেট্রোবাংলা ◈ ভিত্তিহীন মামলায় বিরোধী নেতাকর্মীদের নাজেহাল করা হচ্ছে: মির্জা ফখরুল ◈ বিনা কারণে কারাগার এখন বিএনপির নেতাকর্মীদের স্থায়ী ঠিকানা: রিজভী ◈ অপরাধের কারণেই বিএনপি নেতা-কর্মীদের  বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে: প্রধানমন্ত্রী  ◈ অ্যাননটেক্সকে জনতা ব্যাংকের সুদ মওকুফ সুবিধা বাতিলের নির্দেশ বাংলাদেশ ব্যাংকের ◈ চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা ৪১ দশমিক ৩ ডিগ্রি, হিট এলার্ট জারি  ◈ ঢাকা শিশু হাসপাতালের আগুন নিয়ন্ত্রণে ◈ ইরানে ইসরায়েলের হামলার খবরে বিশ্বজুড়ে উত্তেজনা, তৃতীয় বিশ্বযুদ্ধের আতঙ্ক ◈ বিমানবন্দরের থার্ড টার্মিনালের বাউন্ডারি ভেঙে বাস ঢু‌কে প্রকৌশলী নিহত ◈ জাতীয় পতাকার নকশাকার শিব নারায়ণ দাস মারা গেছেন

প্রকাশিত : ১৩ জুলাই, ২০২০, ০৭:১১ সকাল
আপডেট : ১৩ জুলাই, ২০২০, ০৭:১১ সকাল

প্রতিবেদক : নিউজ ডেস্ক

[১] ডলার তহবিল থেকে ঋণ ৬০০ কোটি টাকা

ডেস্ক রিপোর্ট : [২] দেশের শিল্পকারখানাগুলোকে গ্রিন ফ্যাক্টরিতে (সবুজ কারখানা) রূপান্তরে বাংলাদেশ ব্যাংকের ডলার তহবিল থেকে ৭ কোটি ডলার বা ৬০০ কোটি টাকার ঋণ দেয়া হয়েছে।

ইউরো তহবিল থেকে এখনও কোনো ঋণ বিতরণ হয়নি। তবে ব্যাংকগুলোকে বলা হয়েছে যেসব ব্যাংকের গ্রাহকরা এ তহবিল ব্যবহারে আগ্রহী ওইসব ব্যাংককে কেন্দ্রীয় ব্যাংকের সঙ্গে চুক্তি করতে।

[৩] দেশে গ্রিন ফ্যাক্টরি বা সবুজ কারখানা (ক্রেতাদের শর্ত অনুযায়ী কমপ্লায়েন্স) বাড়াতে সহজ শর্তে ও কম সুদে বহুমুখী ঋণের জানালা খুলছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

এজন্য কেন্দ্রীয় ব্যাংক ইতোমধ্যে ৪ হাজার ১০০ কোটি টাকার তিনটি তহবিল গঠন করেছে। এর মধ্যে বৈদেশিক মুদ্রায় দুটি ও স্থানীয় মুদ্রায় একটি তহবিল রয়েছে।

[৪] এগুলো হচ্ছে- ২০ কোটি ডলারের একটি, ২০ কোটি ইউরোর একটি এবং ৪০০ কোটি টাকার একটি তহবিল। এসব তহবিল থেকে দেশের চলমান কারখানাগুলোকে গ্রিন ফ্যাক্টরিতে রূপান্তর, পরিবেশবান্ধব শিল্প স্থাপন, এসব শিল্পের যন্ত্রপাতি ও কাঁচামাল আমদানির জন্য ঋণ দেয়া হবে।

ইউরোপের দেশগুলো থেকে পণ্য আমদানি করলে ইউরোতে এলসি খুললে খরচ কম পড়ে। কারণ এলসির দেনা সরাসরি ইউরোতে পরিশোধ করা যাচ্ছে। এতে একাধিক মুদ্রায় রূপান্তর করতে হয় না। ফলে এ খাতে সার্ভিস চার্জ বা কোনো কমিশন দিতে হচ্ছে না। বড় বড় এলসিতে ফি বা কমিশন না লাগার কারণে খরচ কমে যাচ্ছে। একই অবস্থা ডলারের ক্ষেত্রেও।

[৫] আমেরিকা থেকে পণ্য আমদানি করতে ডলারে এলসি খুললে খরচ কম পড়ে। স্থানীয়ভাবে কেনাকাটা করতে টাকা ঋণ নিলে এর খরচ কম পড়ে। কেননা এক মুদ্রা থেকে অন্য মুদ্রায় স্থানান্তর করতে ব্যাংকগুলো গড়ে শূন্য দশমিক ১৫ থেকে ২৫ শতাংশ কমিশন আদায় করে।

এ কারণে যে দেশ থেকে পণ্য আমদানি করা হবে, ওই দেশের মুদ্রায় এলসি খোলা হবে। ফলে কমিশন দিতে হয় না। শিল্পের খরচ কমাতে কেন্দ্রীয় ব্যাংক এসব উদ্যোগ নিয়েছে।

[৬] ইউরো তহবিল থেকে ঋণ নিলে ব্যাংকগুলোর ওপর বাংলাদেশ ব্যাংক সুদ আরোপ করে লন্ডনে ইউরো আন্তঃব্যাংক অফার রেটের (ইউরো লাইবর) সঙ্গে ১ শতাংশ সুদ যোগ করে। বর্তমানে ইউরো লাইবর রেট মাইনাস শূন্য দশমিক ৩৪ শতাংশ।

অর্থাৎ ইউরো লাইবর রেট নেতিবাচক হওয়ায় ব্যাংকগুলো ১ শতাংশ সুদে এ তহবিল থেকে ঋণ পাচ্ছে। ব্যাংকগুলো তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয়ের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে এর সঙ্গে আরও ১ থেকে সর্বোচ্চ ২ শতাংশ সুদ যোগ করে মোট সুদ নিতে পারবে। এ হিসাবে উদ্যোক্তা পর্যায়ে ঋণের সুদহার দাঁড়াচ্ছে ২ থেকে ৩ শতাংশ।

[৭] একইভাবে ডলার তহবিল থেকেও ঋণ দেয়া হবে। এক্ষেত্রে ব্যাংকগুলোর কাছ থেকে বাংলাদেশ ব্যাংক নেবে লন্ডনে ডলার আন্তঃব্যাংক অফার রেটের (ডলার লাইবর) সঙ্গে ১ শতাংশ সুদ যোগ করে। বর্তমানে ডলার লাইবর রেট শূন্য দশমিক ৩৬ শতাংশ। এ হিসাবে কেন্দ্রীয় ব্যাংক সুদ নেবে ১ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

ব্যাংকগুলো এর সঙ্গে তহবিল ব্যবস্থাপনা ব্যয় বাবদ আরও ১ থেকে ২ শতাংশ যোগ করতে পারবে। এ হিসাবে গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার দাঁড়াবে ২ দশমিক ৩৬ থেকে ৩ দশমিক ৩৬ শতাংশ।

[৮] টাকা তহবিল থেকে ঋণ নিলে বাংলাদেশ ব্যাংক সংশ্লিষ্ট বাণিজ্যিক ব্যাংককে দেবে ব্যাংক রেটে (বর্তমানে ব্যাংক রেট ৫ শতাংশ)। এর সঙ্গে ব্যাংকগুলো সার্ভিস চার্জ বাবদ আরও ২ থেকে ৩ শতাংশ যোগ করে গ্রাহক পর্যায়ে সুদ আরোপ করতে পারবে। এ হিসাবে গ্রাহক পর্যায়ে সুদের হার দাঁড়াবে ৭ থেকে ৮ শতাংশ।

এর মধ্যে ঋণের মেয়াদ ৫ বছরের কম হলে সুদের হার সর্বোচ্চ ৭ শতাংশ, ৫ বছরের বেশি থেকে ৮ বছরের কম হলে সুদের হার সাড়ে ৭ শতাংশ এবং ৮ বছর বা তার বেশি হলে সুদের হার হবে ৮ শতাংশ।

[৯] তিনটি তহবিলেই ঋণের সুদের হার ব্যাংকগুলোর প্রচলিত সুদের হারের চেয়ে গড়ে ১ থেকে ৩ শতাংশ কম। ব্যাংকগুলো বর্তমানে টাকায় ৯ শতাংশ সুদে, ইউরো ও ডলারে ৬ শতাংশ সুদে ঋণ দিচ্ছে।

ওইসব তহবিলে ঋণের সুদ ব্যতীত অন্য কোনো ধরনের সুদ বা চার্জ আরোপ করা যাবে না। তবে তহবিলের অর্থ ভিন্ন খাতে ব্যবহৃত হলে দণ্ড সুদ আরোপের বিধান রাখা হয়েছে।

[১০] সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিভিন্ন দেশের মুদ্রার চলাচল কম বলে সুদের হারও কমে গেছে। এর মধ্যে সবচেয়ে বেশি কমেছে ইউরো সুদের হার, যা বর্তমানে নেতিবাচক। ডলারের সুদের হারও আগের চেয়ে কমেছে। তবে এসব মুদ্রার চাহিদা বেড়ে গেলে তখন সুদের হারও বেড়ে যাবে।

উল্লেখ্য, পণ্য আমদানির ক্ষেত্রে বিদেশি ক্রেতারা সবুজ কারখানাকে অগ্রাধিকার দিচ্ছে। এ কারণে সবুজ কারখানা স্থাপনে উদ্যোক্তাদের আগ্রহ বেড়েছে। এ কারখানায় উৎপাদিত পণ্য বিদেশের বাজারে প্রতিযোগিতায় বিশেষ সুবিধাও পেয়ে থাকে।যুগান্তর ,প্রিয়ডটকম

  • সর্বশেষ
  • জনপ্রিয়